আলমডাঙ্গা শহরে আনন্দধামে শরিফুল ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু অভিযোগ উঠেছে।বৃহস্পতিবার বিকেলে মৃত ওই শিশুকে তড়িঘড়ি করে ক্লিনিক থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছে তার স্বজনরা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আলমডাংগা উপজেলার ভোদুয়া গ্রামের শাহাজান আলীর কন্যা সুমিকে দেড় বছর পূর্বে কুষ্টিয়া জগতি ঝালুপাড়ার রবিন আলীর সাথে বিবাহ হয়।সুমি গর্ভপতি হলে তার স্বজনরা তাকে ভোদুয়া গ্রামে নিয়ে আসেন।গত ৬ সেপ্টেম্বর সুমি খাতুনের প্রসব বেদনা বেশি শুরু হলে তাকে আলমডাংগা আনন্দধাম নার্সিং হোমে নিয়ে যাওয়া হয়।
জননী সুমির ভাই লিংকন বলেন,সেখানে নিয়ে যাবার পর ক্লিনিকের মালিক শরিফুল ইসলাম প্রথম বাচ্চা সিজারের কথা বলেন, সিজার করলেই ভালো হবে বলে জানায়। শেষ পর্যন্ত সিজারের মাধ্যমে আমার বোনের একটি পুত্র সন্তান ভূমিষ্ট করেন। জন্মের পর থেকেই খুব কান্নাকাটি করতে থাকায় শিশুটিকে ভুল চিকিৎসা দিতে থাকেন ক্লিনিক মালিক ডাক্তার শরিফুল ইসলাম। ক্রমেই বাচ্চাটি
অসুস্থ হয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার সন্ধায় শিশু বাচ্চাটি মারা যায়।মারা যাবার পর তড়িঘড়ি করে রেফার করা হয়।আমরা,সাথে সাথে অন্য ক্লিনিকে নিয়ে গেলে তারা বলেন শিশুটির একঘন্টা আগেই মৃত্যু হয়েছে।
আমরা শিশুর মৃতদেহ থানায় নিয়ে যায় এবং পুলিশকে জানায় পুলিশকে জানালে পুলিশ মামলা করতে বলে।ময়না তদন্তের কথা উঠে, ময়না তদন্তের কথা শুনে আমরা মামলা করিনী।নিষ্পাপ শিশুর লাশ কাটা-ফাড়া আমরা সহ্য করতে পারবো না এজন্য মামলার দিকে ধাবিত হয়নি।
তারা আরো অভিযোগের কথা বলেন, শিশুপুত্রকে মেরেফেলার পরোও কৃতকর্মের জন্য ক্ষেদ তো দূরের কথা ক্লিনিক মালিক শরিফুল জোরপূর্বক করে সিজার খরচ, ৮,০০০|=(আট হাজার টাকা)আদায় করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে এসেছে।বিষয়টি এখন শহরের আলাপে পরিনতি হয়েছে।
স্বজনদের দাবি, যে ক্লিনিকে কোনো ডাক্তার নেই,ক্লিনিক মালিক নিজেই ডাক্তারি করেন, যার কোনো প্রশিক্ষণ নেই, সার্টিফিকেট নেই,ডাক্তারি করার আধ্যাতিক বিদ্যা নেই, এই সমস্ত নামধারী ডাক্তারদের কাছে ক্লিনিক এভাবে চলতে থাকলে, না জানি আরো কতো মায়ের বুক খালি করবে, না জানি আরোও কতো শিশুকে প্রাণ দিতে হবে। এদিকে শিশুটির মৃত্যুর খবর শুনে বেশ কিছু পথচারি ব্যাক্তিরা দেখতে ভিড় জমায়, বাচ্চাটি দেখতে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মিঠুন নামের এক পথচারি ব্যাক্তি এবং নিন্দা জানিয়েছেন ক্লিনিক মালিক শরিফুল কে।এই সমস্ত নামধারী ডাক্তারদের আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তির দাবি জানান স্বজনরা।
#চলনবিলের আলো / আপন