সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

ভাঙ্গুড়ায় বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেও থাকছে বকেয়া গ্রাহকের হয়রানি

আব্দুর রহিম বিশেষ প্রতিনিধি ভাঙ্গুড়া:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:১৩ অপরাহ্ণ

মো. আকবার আলী সরদার, অবসরপ্রাপ্ত একজন সরকারি কর্মকর্তা। বাড়ি পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের রুপসী গ্রামে। জুলাই/২০২১ মাসে তার বিদ্যুৎ বিলের মিটার রিডার ছিল ১৫৬৩০ থেকে ১৫৮১৫ । বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমান ছিল ১৮৫ ইউনিট। সে মোতাবেক বিল এসেছিল ৯৮৩ টাকা। তিনি ওই বিল অগ্রণী ব্যাংক মির্জাপুর হাট শাখা, চাটমোহরে যথা নিয়মে পরিশোধ করেছিলেন। কিন্তু আগষ্ট/২০২১ মাসে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন ২৩৫ ইউনিট। সে মোতাবেক বিদ্যুৎ বিল আসার কথা ১২৩৯টাকা। কিন্তু বিল এসেছে ২২৪২ টাকা। ওই বিলের কাগজ হাতে পেয়ে তার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায়। আগস্ট/২০২১ মাসে বিদ্যুৎ বিল এতো টাকা কেন?। অবশ্য ক

এবিষয়ে বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে তিনি জানতে পারেন যে পূর্ববর্তী মাসের বিল বকেয়া ছিল তাই তার এতো টাকা বিল এসেছে। কিন্তু তিনি তো বিধিমোতাবেক পূর্ববর্তী মাসে বিল প্রদান করেছেন তাহলে আবার বকেয়া কেন? অবশেষে চোখেমুখে চিন্তার ছাপ নিয়ে ক্লান্ত শরীরে ভাঙ্গুড়া সাবজোনাল অফিসে বিলের কাগজ নিয়ে ঘোরাঘুরি করছেন।

বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ করেও পরের মাসের বিলের সাথে আসছে বকেয়া বিল ফলে বিলের কাগজ হাতে পেয়ে অতিরিক্ত বিল দেখে শুধু অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকবার আলী নন ওই ইউনিয়নের রুপসী, গদাই রুপসী, ভাঙ্গাজোলা,বাশবাড়িয়া, বাঔহাট গ্রামের শতশত গ্রাহক এমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাদের দাবী নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করা পরও কার অবহেলায় এমন বিল আসছে ?

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের অন্তর্গত রুপসী, গদাই রুপসী, ভাঙ্গাজোলা,বাশবাড়িয়া, বাঔহাট গ্রামের গ্রাহকদের বিল দিতে হয় চাটমোহর উপজেলার অন্তর্গত নিমাইচড়া ইউনিয়নের অগ্রণী ব্যাংক ,মির্জাপুর হাট শাখায়। সে কারণে ব্যাংকের ওই শাখায় উল্লেখিত গ্রামের বিল গ্রহণ করে চাটমোহর হয়ে ভাঙ্গুড়া সাবজোনালে ফেরত আসতে ২০/২৫ দিন লেগে যায়। কিন্তু তার আগেই ভাঙ্গুড়া সাবজোনাল কম্পিউটারে পরের মাসের বিল এন্টি হয়ে যায়। কিন্তু ভুক্তভোগীীরা বলছেন,তারা দীর্ঘদিন ওই ব্যাংকে বিদ্যুৎ বিল দিয়ে আসছেন এর আগে এমন ঘটনা ঘটে নি। এই অবস্থা থেকে তারা পরিত্রান চান।

ওই এলাকার গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন স্বীকার করে এবিষয়ে ভাঙ্গুড়া সাবজোনাল অফিসের এজিএম(অপারেশন এন্ড ম্যাজেমেন্ট) মো. মনির হোসেন জানান, চাটমোহর উপজেলার অন্তর্গত অগ্রণী ব্যাংক ,মির্জাপুর হাট শাখায় উল্লেখিত গ্রামের গ্রাহকদের বিল গ্রহণ করে চাটমোহর হয়ে ভাঙ্গুড়া সাবজোনালে ফেরত আসতে ২০/২৫ দিন লেগে যায়। কিন্তু তার আগেই ভাঙ্গুড়া সাবজোনাল কম্পিউটারে পরের মাসের বিল এন্টি হয়ে যায়। ফলে তারা অফিসে বিল সংশোধনের জন্য এসে প্রতিনিয়ত ভীড় করছেন। তবে যদি তারা বিকাশ বা টেলিটকের মাধ্যমে বিল দিতেন তাহলে এমনটা হতে না। বিষয়টি স্থায়ী সমাধানের উর্ধতন কর্র্তৃপক্ষের আলোচনা চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

এবিষয়ে চাটমোহর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১এর এজিএম(অর্থ) আব্দুল হান্নান বলেন,সংশ্লষ্ঠি ব্যাংক থেকে জুলাই/২০২১ হিসাব দেরীতে আসার কারণে শুধুমাত্র চাটমোহর উপজেলার মির্জাপুর হাট শাখায় প্রদানকৃত ভাঙ্গুড়া উপজেলার কিছু গ্রহকের সমস্যা হয়েছে। প্রদানকৃত বিলের কপি নিয়ে অফিসে যোগাযোগ করলে সেটা ফ্রি করাসহ আগামীতে এমনটি হবে না বলেও জানা তিনি।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর