গ্রামের মোড়ল দের বসানো সালিশে একই পরিবারের নারীসহ ৩ জনকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে। জানা যায়, ভাই বোনের মধ্যে পূর্বের কলহের জের ধরে ১৪ আগস্ট শনিবার রাত দশটার দিকে ইদ্রিস আলীর বাড়িতে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হেলার উদ্দিন ও কয়েক জন গ্রামের মোড়ল সালিশের উদ্দেশ্যে উপস্থিত হয়। সেখানে আব্দুল লতিফ তার স্ত্রী মোছাম্মদ খালেদা বেগম ও তার ছেলে মোঃ খাইরুল ইসলাম কে ডেকে নিয়ে সালিশ শুরু করেন। এক পর্যায়ে সালিশে উপস্থিত সকল মোড়লের সামনে ইদ্রিস গং ক্ষিপ্ত হয়ে অসহায় আব্দুল লতিফের স্ত্রী ছেলে ও তার ওপর হামলা চালা এ সময় ইউপি সদস্য মোঃ হেলার উদ্দিন উভয পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু গ্রামের মোড়লরা নীরব থাকায় আব্দুল লতিফের স্ত্রী পুত্র ও সে গুরুতর আহত হয়। এ সময় চিৎকারের শব্দ শুনে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন কেই ভর্তি করেন। পরের দিন আব্দুল লতিফের অবস্থা অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেপার্ড করেন। পরে আব্দুল লতিফের স্ত্রী মোছাঃ খালেদা বেগম বাদি হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর থেকেই ইদ্রিস গং আত্মগোপন করে রয়েছে।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মুঃ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, অভিযোগ তদন্ত চলছে সত্যতা পেলে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
#চলনবিলের আলো / আপন