ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২০নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের সেনিহারী গ্রামে একখন্ড জমির মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এতে উভয় পক্ষের ৩ জন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
জানা যায়,সেনিহারী গ্রামের সাদেকুর রহমান জীবন ও গিয়াস উদ্দীন মাষ্টারের মাঝে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল।সোমবার সকালে জীবনের ছেলে অর্নব তাদের বাড়ি সংলগ্ন ১৬ শতক জমিতে হাল চাষ করে।বেলা অনুমান দেড়টার সময় গিয়াস উদ্দীনের লোকজন জীবনের উপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।এতে সে গুরুতর জখম হয়।স্থানীয়রা তাকে উদ্দার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।এ সময় সেনিহারী ওয়ার্ড আওয়ামলীগের সাধারণ তাজুল ইসলাম সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উভয়পক্ষকে সংঘর্ষে বাঁধা দেয়।এরই জের ধরে সেনিহারী ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বিকেলে আনোয়ারের পান দোকানে গল্প করার সময় অপরপক্ষে লোকজন হেলমেট পড়ে তাজুলের উপর হামলা চালায় এবং মাথায় আঘাত করে।এতে তার মাথা ফেটে যায়।আহত সাদেকুর রহমান জীবন জানান,দুপুর দেড়টার সময় গিয়াস উদ্দীন মাস্টারের নেতৃত্বে তার মাইন উদ্দিন মংলু,বাদল,বদরুল, সহ ৭/৮জন জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়।তারা এলোপাথারী কুপিয়ে আমাকে ও মমিনুল ইসলামকে জখম করে।অথচ ওই জমি নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠত অনুষ্ঠিত হয়।সর্বশেষ রুহিয়া থানায় সালিশ অনুষ্ঠিত হয়।কিন্তু গিয়াস উদ্দীনের লোকজন কোন সালিশ মানে না।
স্থানীয়রা জানান, সেনিহারী মৌজার ৫২২ খতিয়ানভুক্ত ১৫৫২ নাম্বারে দাগের মোটজমি ২.৩২ একর জমি হতে ১৬ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলমান। স্থানীয়ভাবে অসংখ্যবার সালিশ বেঠক বসলেও বিষয়টি সালিশে নিস্পত্তি হয়নি।
এ বিষয়ে রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চিত্তরঞ্জন রায় মুঠোফোনে জানান, কারো অভিযোগ পাইনি তবে শুনেছি উভয় পক্ষ হাসপাতালে ভর্তি আছে সুস্থ্য হউক, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
#চলনবিলের আলো / আপন