‘হায় রে পিতলের কলসি তোরে লইয়া যামু যমুনায়’—এই গান একসময় অসম্ভব জনপ্রিয় ছিল। তখন ঘরে ঘরে পিতলের কলসি ছিল। শুধু তাই নয়—পিতলের থালা, বাটি, জগ, গ্লাস, পানের বাটা প্রভৃতির প্রচলন ছিল দেশজুড়ে। এখন আর সেই দিন নেই।
সিলভার, মেলামাইন, প্লাস্টিকের থালা-বাসন, জগ, গামলা বাজার ছেয়ে যাওয়ায় পিতলের সামগ্রী কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। পিতলের সামগ্রী এখন বিলুপ্তির পথে। গ্যাস্ট্রিক ও অম্বলের রোগীরা পিতলের সামগ্রী যেমন থালায় ভাত খেলে, গ্লাসে পানি পান করলে উপকার পেয়ে থাকেন। নিয়মিত ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে আরোগ্য লাভ করার কথা অনেকেই মুখেই শুনেছি। এখনো অনেক গ্যাস্ট্রিক ও অম্বল রোগী পিতলের থালে ভাত খান আরোগ্য লাভের আশায়। মেলামাইন, প্লাস্টিক সামগ্রীর চেয়ে দাম বেশি হওয়ায় পিতল সামগ্রীর ব্যবহার দিন দিন কমছে।
শত শত বছর আগ থেকে আমাদের দেশের সর্বত্র পিতলশিল্প গড়ে উঠেছিল। তিন যুগ আগেও ঘরে ঘরে পিতলের থালা, বাসন, ঘটি, কলসি, পানের বাটা, প্রদীপ, কুপি, গ্লাস, তাওয়া, গামলা, ডিশ, পাতিলসহ বিভিন্ন জিনিসের ব্যবহার ছিল। এর ব্যবহার এখন এতই কমে গেছে যে, এই শিল্পের সঙ্গে যাঁরা জড়িত তাঁরা এখন কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। সুস্থ থাকার জন্য এর ব্যবহার জরুরি। তবেই সম্ভব হবে অতীতের ঐতিহ্য পিতলশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা।
#চলনবিলের আলো / আপন