দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দরের ১৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গণডাকাতি করে ৩৩ লাখ টাকা লুট করে নিয়েছে সশস্ত্র ডাকাত দল। শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতের হামলায় ৫ জন আহত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে মুখোশ পড়া অস্ত্রধারী ৫০/৬০ জনের ডাকাত দল টরকী বন্দরের ভিতরে দুটি চেক পোষ্ট বসিয়ে বন্দরের রায় পট্রি ৬টি, মন্দির গলি ৫টি ও মধ্য চরে ২টি দোকানের তালা বিশেষ যন্ত্র দ্বারা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ ফিল্মি ষ্টাইলে ডাকাতি করে প্রায় নগত দেড় কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় ডাকাত দল প্রায় ৪০ ব্যাবসায়ী ও পথচারী রশি দিয়ে বেঁেধ তাদের সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেছে। জেরিন এন্টাপ্রাইজের মালিক গাজী জাকির হোসেন জানান, তার দোকানের তালা ও সিন্দুক ভেঙ্গে দোকান তছনছ করে সিন্দুকে থাকা ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তালুকদার মেডিকেল হল বিকাশ পয়েন্টের মালিক অহিদুল ইসলাম জানান, ডাকাতরা বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে দোকানের ৪টি তালা ভেঙ্গে নগদ পৌনে ৪ লাখ টাকা লুট করেছে। এ ছাড়া মোল্লা এন্টাপ্রাইজ, পূন্য রায়ের গদি ঘর, নিত্য রায়, গোলক রায়, পরিমলের মুদি দোকান, বিপুল দাসসহ ১৩টি দোকানে ডাকাতরা আড়াই ঘন্টা বসে ডাকাতি করে ট্রলার নিয়ে চলে যায়।
টরকী বন্দরের ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, টরকী বন্দরের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। টরকী পুলিশ ক্যাম্প থেকে ডাকাতিস্থলে পৌছতে ২/৩ মিনিট সময় লাগে কিন্তু ডাকাতি চলাকালীন সময়ে ক্যাম্পের ইনচার্জকে মুঠোফোনে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেননি। একাধিক নৈশ প্রহরী বলেন, ডাকাতরা একাধিক ট্রালার নিয়ে নদীর ঘাটে এসে কমান্ডো ষ্টাইলে বন্দরে ঢুকে চেকপোষ্ট বসিয়ে ডাকাতি করে। এ সময় প্রায় ৫০ জন দোকানী, পথচারী ও নৈশ কোচেরযাত্রীকে বেধে রাখে। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে টরকী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীন সরদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে কেউই মুঠোফোনে ডাকাতির খবর জানাননি রাত ৪টার দিকে নৈশ প্রহরী এনে আমাকে জানালে তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌছি। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে অনুসন্ধান চলছে খুব শীঘ্রই রহস্য উৎঘাটনসহ জড়িতদের গ্রেফতারকরা হবে।
#চলনবিলের আলো / আপন