সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫১ অপরাহ্ন

ই-পেপার

সাতক্ষীরা বল্লীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্টের পাইতারা,মুলহোতা একাধিক নাশকতার মামলার আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আপডেট সময়: রবিবার, ৮ আগস্ট, ২০২১, ১:১১ অপরাহ্ণ

সাতক্ষীরা সদরের বল্লী মোঃ মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করতে একটি কুচক্রী মহল যড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা জায় একই প্রতিষ্ঠানের বহিষ্কৃত সহকারী শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুল এর মূল হোতা।
১৩ সালের (বর্তমান) সরকার বিরোধি আন্দোলনের দাপুটে নেতা আজহারুজ্জামান মুকুলের নেতৃত্বে বল্লী ইউনিয়ন সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় তান্ডব চালিয়ে অশান্ত করে তুলেছিল। তার নামে ১০ টির মতো মামলা হয়।

১৩ সালের সরকার বিরোধি আন্দোলন করে সফল না হতে পারায় সরকার বিরোধী মামলা সহ একাধিক নাশকতার মামলা হয় তার নামে।
সে সময় মামলা থাকার কারণে পুলিশ কতৃক গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে এলাকা ছেড়ে তিনি ঢাকার রয়েল পাবলিকেশন্সর এর কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জোনে যেয়ে আত্মগোপনে চাকুরী করতেন। পরে সরকার বিরোধী মামলা ও করোনার কারনে তাকে স্তগীত করেন ওই প্রতিষ্টান কতৃপক্ষ। বিস্থস্ত সুত্রে জানাযাই যে উক্ত জামায়াত নেতা একাধিক নাশকতা মামলার আসামি আজহারুজ্জামান মুকুল বিদ্যালয়ে প্রায় ৬ বছরের ও অধিক সময় অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন। এলাকার স্হানীয়রা জানান একই ব্যক্তি দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে এবং উভয় প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন ও উত্তোলন করে এটা কিভাবে হয় এটা আমাদের বোধগম্য নয়। তাছাড়া তার বিষয়ে একাধিক বার স্হানীয় ও জাতীয় দৈনিক সংবাদ পত্রে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কোন কিছুই কাজে আসেনি,বরং সে বহাল তবিয়তে বহিষ্কার থেকেও বেতন উত্তোলন করেই যাচ্ছে, এবং নিষিদ্ধ জামায়াত সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে। নতুন করে বিদ্যালয় নিয়ে যড়যন্ত্রের বিষয়ে বহিষ্কৃত শিক্ষক জামায়াত নেতা আজহারুজ্জামান মুকুলের নিকট সরাসরি সাক্ষাৎ করে জানতে চাইলে উত্তরে জানায় বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম সাহেব ও প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আঃ রাজ্জাক যোগসাজস করে আমাকে বিদ্যালয়ে জয়েন্ট করতে দেয়নি। এজন্য আমি নজরুল সাহেব সহ প্রধান শিক্ষকের নামে হাইকোর্টে মামলা করেছি। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের চাকরির মেয়াদ আগামী মাসে শেষ হবে কিন্তু তিনি আবার চুক্তি ভিত্তিক থাকবেন বিষয় টি আমি জানতে পারি কিন্তু আমি এটা হতে দেব না, উপরিমহলে জানানোর চেষ্টা করবো।
দম্ভের সাথে কথা বলতে যেয়ে একপর্যায়ে জানায় আমি নজরুল সাহেব কে ছাড় দেয়নি আর এতো ইউনিয়নের ব্যাপার। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আঃ রাজ্জাক জানান, আমার চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে স্হানীয় মানুষ এবং কতৃপক্ষ যদি পুনরায় আমাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেন সেক্ষেত্রে আমি চাকরি করবো কি করবো না ভেবে দেখবো। এখন এবিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।

তাছাড়া যে যড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই, কতৃপক্ষ অনেক অনেক বিষয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছে।

সমস্ত ঘটনা ইতিপূর্বে ধারাবাহিক ভাবে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যাহা এলাকাবাসীসহ দেশবাসীজানে। আমার নতুন করে কিছু বলার নেই।
এ ব্যাপারে স্হানীয় চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয়ের এ্যাডহক কমিটির সভাপতি বজলুর রহমান জানান, উক্ত শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুল একাধিক নাশকতার মামলায় আসমী হওয়ার পর থেকে শুধু বিদ্যালয় নয় আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে ফের অত্র এলাকা অশান্তের পাইতারা চালাচ্ছে।

এলাকার সচেতন মহল জানান একজন সন্ত্রাসী কিভাবে একাধিক নাশকতার মামলায় জড়িত থেকে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে বেতন উত্তোলন করে। কেন তাকে স্হায়ী বহিষ্কার করা হবে না। ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের যড়যন্ত্রে লিপ্তের বিষয় টি সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর