পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় থানায় অভিযোগের ২০ দিন অতিবাহিত হলেও মামলা নেয়নি থানার ওসি মুঃ ফয়সাল বিন আহসান। গৃহবধূ ও তার স্বামীর অভিযোগ, বারবার মামলা রুজু করার জন্য ভাঙ্গুড়া থানায় গেলেও ওসি তাদের মামলা না নিয়ে পাবনা কোট আদালতে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। এ নিয়ে এলাকায় প্রশাসনের ওপর সাধারণ মানুষের বিভিন্ন প্রশ্ন ওঠেছে। এ ঘটনায় ৩ আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুরে ভাঙ্গুড়া থানায় গৃহবধূর ও তার স্বামীকে মামলা রুজু করার কথা বলে ডেকে এনে পূনরায় একটি লিখিত অভিযোগ নেন ওসি।
জানা গেছে, উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়নের মেন্দা গ্রামের এক গৃহবধূ ও তার স্বামী গত ১৩ জুলাই ভাঙ্গুড়া থানায় এসে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামের (৪৫) বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ করেন। সিরাজুল একই গ্রামের মৃত গফুর প্রামাণিকের ছেলে ও তিন সন্তানের জনক।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৭ জুলাই বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে জনৈক গৃহবধূর বাড়িতে এসে রিলিফের কার্ড দেওয়ার কথা বলেন সিরাজুল। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকায় একা পেয়ে লম্পট সিরাজুল গৃহবধূকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় গৃহবধূ চিৎকার দিলে লম্পট সিরাজুল রাতে গৃহবধূকে দেখে নিবে বলে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ওই গৃহবধূ সিরাজুলের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীকে বলে দেন। গৃহবধূর স্বামী দুখু মিয়া মেয়ে জামাইয়ের বাড়ি থেকে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে সব কিছু খুলে বলেন। গৃহবধূর স্বামী দুখু মিয়া এলাকার ইউপি সদস্যসহ গ্রাম প্রধানদের কাছে বিচার চেয়ে বিচার না পাওয়ায় ১৩ জুলাই সোমবার রাত ৮ টার দিকে গৃহবধুর স্বামী দুঃখ মিয়া বাদি হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের পর ১৫ জুলাই বুধবার এস আই শফিকুল ইসলাম তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে অজানা কারণে এস আই শফিকুলকে থানা থেকে ক্লোজ করে পাবনা পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে। পরে এই অভিযোগের তদন্ত করেন এস আই আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন এ অভিযোগের বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরিন ও ওসি মুঃ ফয়সাল বিন আহসান অবগত তাই আমার কোন কথা বলার নেই।
এ ঘটনায় গত ২৮ জুলাই বুধবার রাত ৯টার দিকে ওসি থানায় তার নিজ কক্ষে বাদী-বিবাদীকে ডেকে এনে আপোষ মিমাংসা করার চেষ্টা করেন।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মুঃ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, মিটিংয়ে আছি এ বিষয়ে সন্ধায় জানাবো।
সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরিন বলেন, আভিযোগের বিষয় আমি অবগত, তবে অভিযোগ তদন্ত কারী অফিসার যদি মনে করেন,মামলা নেওয়ার মত,তাহলে মামলা রুজু করার কথা। আপোষ মিমাংসা করার বিষয় জানতে চাইলে বলেন,আপোষ মিমাংসা করতে পারে,তবে কোথায় বসবে তা আমি জানিনা ওসি জানে।
পাবনা পুলিশ সুপার বলেন, মামলা নেওয়ার মত হলে অবশ্যই মামলা হবে। বিষয়টি নিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) এর সাথে কথা বলছি।
#চলনবিলের আলো / আপন