খাগড়াছড়ির রামগড়ে চাইথৈ মারমা নামের এক যুবক কে গলাকেটে হত্যার অভিযোগে তার স্ত্রী চোপাই মারমা ও শ্যালক উক্যাচিং মারমা কে গ্রেফতার করেছে রামগড় থানা পুলিশ।
এই ঘটনায় গত রবিবার (২৫শে জুলাই)মধ্যরাতে নিহতের ছোট ভাই অংগ্য মারমা বাদী হয়ে নিহতের স্ত্রী,শ্যালক এবং স্ত্রীর সাবেক স্বামী পাইসাথৈই মারমাকে আসামী করে রামগড় থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে নিহতের ভাই অংগ্য মারমা বলেন, গত ২৪শে জুলাই সকালে নিহত চাইথৈ মারমা তার স্ত্রী চোপাই মারমাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আনতে যায়।পরের দিন সকাল বেলায় শ্বশুরবাড়ির কক্ষে তার গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায়।একই বিছানায় ঘুমালেও স্বামীকে কে বা কারা গলা কেটে হত্যা করলো তার কোন কিছুই জানতে পারেনি নিহতের স্ত্রী চোপাই মারমা।এটি কে অবিশ্বাস্য বলে দাবি করেন তিনি।এজাহারে তিনি আরো উল্লেখ করেন পূর্বের স্বামী পাইসাথৈই মারমার অমতে বিয়ে করায় তার ভাইয়ের উপর ক্ষিপ্ত ছিলো।নিহতের স্ত্রী তার পূর্বের স্বামীর সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করে এমন সন্দেহে চোপাই মারমার সাথে তার বর্তমান স্বামীর মতবিরোধ দেখা দেয়।এসমস্ত কারণে তিনি দাবি করেন নিহতের স্ত্রী,শ্যালক এবং স্ত্রীর সাবেক স্বামী মিলে তার ভাইকে হত্যা করেছেন।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোহাম্মদ শামসুজ্জামন জানান,হত্যাকান্ডটি রহস্যজনক মনে হওয়ায় শুরুতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী চপাইয়ে মারমা ও শ্যালক উখ্যাচিং মারমাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।পরে নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে রামগড় থানায় মামলা দায়ের করলে আজ সোমবার(২৬শে জুলাই) তাদের গ্রেফতার করে আদালতে হস্তান্তর করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।বাকি পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য গতকাল রবিবার(২৫জুলাই) বিয়ের ৫দিন পর শ্বশুর বাড়ি থেকে যুবকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে রামগড় থানা পুলিশ।উপজেলার ২নং পাতাছড়া ইউনিয়নের দুর্গম দক্ষিণ নতুন পাড়া এলাকায় এ হত্যাকান্ড ঘটে।নিহত যুবক চাইথৈ মারমা উপজেলার খাগড়াবিল এলাকার বজেন্দ্র মারমার ছেলে।নিহতের স্ত্রী চোপাই মারমা তার সাবেক স্বামী এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি করলেও নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে নিহতের স্ত্রী, শ্যালক এবং স্ত্রীর সাবেক স্বামীকে আসামী করে মামলা করলে স্ত্রী ও শ্যালক কে গ্রেফতার করে রামগড় থানা পুলিশ।
#চলনবিলের আলো / আপন