লকডাউনের কারণে আর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ও আতিথেয়তা সম্ভব হয়নি। ছুটতে হয়েছে কর্মস্থলের জন্য। নতুন বউ নিয়ে অন্তত লঞ্চের কেবিনে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল রাসেলের। তাও হলোনা।
অস্বাভাবিক যাত্রীর চাঁপে শেষে লঞ্চের ছাদেই ঠাঁই হয়েছে নবদম্পতির। ফলে নবদম্পত্তির বাসর রাত কেটেছে লঞ্চের ছাদেই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরিশাল নদীবন্দরে কথা হয় নববিবাহিত রাসেলের বোন পারভীন বেগমের সাথে। জেলার উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নে তাদের বাড়ি।
পারভীন বেগম বলেন, বিয়ের কথাবার্তা ঠিক হয় গত ঈদ-উল-ফিতরের সময়। কিন্তু তখন লকডাউন পরবে জেনে বিয়ের আয়োজন করা হয়নি। এরপর উভয় পরিবার মিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন ঈদ-উল আজহার সময় বিয়ের অনুষ্ঠান করা হবে। সেমতে কোরবানী ঈদের পরেরদিন বিয়ের আয়োজন করা হয়। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা জানতে পারেন শুক্রবার থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হবে। শেষে বিয়ের অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা ও আতিথেয়তা না করেই নতুন বউ নিয়ে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, রাসেল ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেলসম্যানের কাজ করেন। নববধূ সোনিয়া আক্তারের বাড়িও একই ইউনিয়নে। নববিবাহিত রাসেল বলেন, অনেক চেষ্টা করেও লঞ্চের একটি কেবিন সংগ্রহ করতে পারিনি। তাই নতুন বউ নিয়ে পারাবত-১০ লঞ্চের ছাদে খোলা আকাশের নিচেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছি।
#চলনবিলের আলো / আপন