সিরাজগঞ্জ তাড়াশ সহ গত তিন সপ্তাহ ধরে বৃষ্টির পানিতে কবলিত। বিপদসীমার ওপর বইছে আশপাশের সবকটি নদ-নদী। অন্যদিকে গতকাল শুক্রবার সিরাজগঞ্জ জুড়ে সৃষ্টি হয় বৃষ্টির কারনে জলাবদ্ধতা। অনেক সড়ক দেড় ফিট পানির নিচে তলিয়ে যায়। গতকাল রাত ৮টায় অনেক সড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায় বৃষ্টির পানি ও জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তিতে সিরাজগঞ্জ বাসি। আর দেশের চলমান বৃষ্টির পরিস্থিতি মধ্যে জুনে উন্নতি হলেও মাসের শেষের দিকে আবারও নতুন করে বন্যা দেখা দিতে পারে। গত অনেক দিন ধরে ছিল ভ্যাপসা গরম। গত কয়েক সপ্তাহ ব্যাপী বৃষ্টির কারনে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই সড়কগুলো পানির নিচে তলিয়ে যায় অনেক এলাকায় দোকানপাটেও পানি ঢুকে পড়ে। এ সময় অনেককেই নোংরা পানির ওপর দিয়েই গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃষ্টিতে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমলেও আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
গত কয়েক সপ্তাহে বৃষ্টিতে সিরাজগঞ্জেল নিম্নাঞ্চলের পানি আরও কিছুটা বেড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সিরাজগঞ্জের চারপাশের নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইলেও পানি তেমন বাড়ছে না। তাই সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি আগামী কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে। ভারী বর্ষণ না হলে সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি আপাতত অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
গতকাল সিরাজগঞ্জ তাড়াশ সহ ভিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলের অনেক রাস্তা ঘাট ও আবাদি পুকুর সহ ডুবে গেছে। অনেক বাড়ির আবার পানি ছুঁই ছুঁই অবস্থা। ৩-৪ দিন আগেও এসব এলাকায় নিয়মিত বৃষ্টি বাড়লেও গত দুদিন ধরে আরও বাড়ছে । তবে বৃষ্টির কারণে গতকাল পানির উচ্চতা কিছুটা বেড়েছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। ওইসব এলাকার অনেকেই পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কাজকর্ম বন্ধ থাকায় আর্থিক সংকটে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ।
দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনিত হয়েছে। ওইসব এলাকার বেশিরভাগ নদ-নদীর পানিপ্রবাহ আগের চেয়ে অনেক বেরেছে। তবে এই পরিস্থিতে পর্যাপ্ত ত্রাণের অভাবে তারাও খাদ্য সংকটে ভুগছেন। নলকূপগুলো পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। দূষিত পানি পান করে অনেকেই পানিবাহিত রোগে ভুগছেন। বর্তমানে দেশে সমস্ত জেলায় বৃষ্টি চলছে।
সিরাজগঞ্জে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত : সিরাজগঞ্জ তাড়াশে খাল-বিল ও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তলিয়ে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘের ও পুকুর এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বৃষ্টির পানি বাড়তে থাকায় প্লাবিত হয়েছে পুকুর ও রাস্তা ঘাট ফলে পানিবন্দি অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রায় ১৫ হাজার পরিবারে প্রায় কয়েক লাখ মানুষ।
#চলনবিলের আলো / আপন