যশোরের অভয়নগর উপজেলার শিল্প ও বানিজ্য নগরী নওয়াপাড়ার আলমদিনা (প্রাঃ)হাসপাতালটি এখন গরীবের চিকিৎসা-সেবা কেন্দ্র হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছে ৷ কর্তৃপক্ষ অক্লান্ত পরিশ্রম করে সুনামের সহিত তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন এই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানটি ৷ দুরদূরান্তের বিভিন্ন গ্রাম-শহর থেকে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসে এখানে ৷ বিশেষ করে অসহায় হতদরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের একমাত্র সেবাকেন্দ্র হলো আলমদিনা (প্রাঃ) হাসপাতাল ৷ সরেজমিনে দেখা গেছে , অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির দ্বারা অল্প খরচে বিভিন্ন প্রকারের পরীক্ষ৷ -নিরীক্ষা করা হয় ৷ করোনাকালিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৪ ঘন্টা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও নার্সদ্বারা পরিচালিত এ প্রতিষ্ঠানটি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নামে মাত্র মূল্যে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে ৷ মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের প্রসূতি মায়ের অস্ত্রপাচারের এক গরীব-অসহায় রোগী সুমি বেগম পরিপূর্ণ সুস্থ হওয়ার পর’ দু’চোখে অশ্রু ঝরিয়ে মনের আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, একি মানবতা ? আমি চিকিৎসা বাবদ কোন খরচ দিতে পারিনি অথচ এই হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বিনা খরচে সেবাদান করে আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাকে সুস্থ করে তুলেছেন ৷ আমার জীবনে যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন এ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের জন্য মন খুলে দোয়া করে যাবো ৷
আলমদিনা (প্রাঃ) হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী মোঃ নাজমুল হুদা এ প্রতিনিধিকে জানান, করোনাকালিন সময়ে অসহায় -হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করি ৷ যারা অর্থের অভাবে চিকিৎসা হতে পারছেনা তাদেরকে বিনা খরচে সেবাদান করে থাকি , আমাদের এই হাসপাতালে অপারেশনসহ সব ধরনের পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে ৷ অবশেষে আমি একটা কথা বলতে চাই ,সেবাই আমাদের ধর্ম “ও সেবাই আমাদের কর্ম “এর বিকল্প কিছুই নেই ৷ মানুষের সেবার মাঝেই বেঁচে থাকতে চাই আজীবন ৷
#চলনবিলের আলো / আপন