বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এক সন্তানের জননী টুম্পার আত্মহত্যার জন্য নিজের শরীরে কলম দিয়ে অভিযুক্ত স্বামী, ভাসুর ও জা এর নাম লিখে রেকে গেছে টুম্পা। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে টুম্পার বড় বোন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত রমী স্বপন মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে।
থানার ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, মাদারীপুর জেলার ডাসার থানার নবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মৃত বঙ্কিম মন্ডলের ছেলে স্বপন মন্ডলের (৪২) সাথে এগারো বছর পুর্বে টুম্পার (৪০) বিয়ে হয়। বিয়ের পরে স্বামী, ভাসুর ও জা’এর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের কারনে ৭/৮বছর আগে স্বপন তার বাবার বাড়ি ছেড়ে স্ত্রী টুম্পাকে নিয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রামান্দেরআক গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস শুরু করে। টুম্পা সরকারী রাস্তায় ও তার স্বামী স্বপন শ্রমিক হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। তাদের ৮/৯ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
জমিজমা ও পারিবারিক সমস্যা সমাধানের জন্য ৮জুন মঙ্গলবার সকালে টুম্পা তার স্বশুরবাড়ি নবগ্রাম গেলে সেখানে তার ভাসুর বিবেক মন্ডল ও জা রীতা রানী মন্ডল তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ ও মানষিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে টুম্পাকে বের করে দেয়।
স্বামী, ভাসুর ও জা এর নির্যাতন সইতে না পেরে মঙ্গলবার রাতেই টুম্পা নিজের ঘরে বিষ পান করে আত্মহত্যা করে। বুধবার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ টুম্পার লাশ খাটের উপর থেকে উদ্ধার করে বরিশাল মর্গে প্রেরণ করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিশু জানান, তিনি টুম্পার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করার সময় টুম্পার মৃতদেহের হাটুর উপর অংশে কলম দিয়ে তার মৃত্যুর কারন ও মৃত্যুর জন্য তার তার নিজের পায়ের হাটুর উপর অংশে স্বামী স্বপন মন্ডল, ভাসুর বিবেক মন্ডল ও বিবেকের স্ত্রী রীতা মন্ডলের নাম লিখে রেখে যায়। এছাড়াও টুম্পাকে তার মায়ের শশ্মনের কাছে সৎকার করার আকুতি রেখে যায়।
নিজের শরীরে মৃত্যুর কারন ও দায়ী ব্যাক্তিদের নাম দেখে টুম্পার বড় বোন কল্পনা অধিকারী বুধবার বাদী হয়ে টুম্পার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে উল্লেখিত তিন জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন, নং-৬(৯.৬.২১)।
ওই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত টুম্পার স্বামী স্বপন মন্ডলকে বুধবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। টুম্পার পোষ্ট পোষ্ট মর্টেম শেষে ¯^জনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
#চলনবিলের আলো / আপন