জহরুল ইসলাম( জীবন) হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যক্ষাণ করায় ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে আজিজা আক্তার উর্মি (১৬) নামে এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণের অভিযোগ হরিপুর থানায় মামলা একটি অভিযেগ দায়ের করেন স্কুল ছাত্রীর বাবা আমিরুল ইসলাম। অপহরণের ২১দিন পেরিয়ে গেলেও অপহরণকারী মোঃ গোলাপসহ তার সহযোগিদের গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। এদিকে স্কুল ছাত্রী বেঁচে আছে না তাকে মেরে ফেলা হয়েছে এ আশঙ্কায় উৎকন্ঠা বিরাজ করছে আজিজা আক্তার উর্মির পরিবারের মধ্যে। মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার রাউতনগর (পুলপাড়) গ্রামের দুলালে ছেলে মোঃ গোলাপ পাশ্ববর্ত হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে আজিজা আক্তার উর্মি (১৬) কে দীর্ঘ এক বছর ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করে।
কিন্তুু গোলাপের প্রস্তাব স্কুল ছাত্রী প্রত্যক্ষাণ করে তাঁর নিজ পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে স্কুল ছাত্রী বাবা আমিরুল ইসলাম তার মেয়েকে উত্তাক্ত্য করার বিষয়টি গোলাপের পরিবারকে অবগত করেন। এতে গোলাপ ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৬/০৪/২০২০ইং তারিখে দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে স্কুল ছাত্রীকে রাস্তা থেকে জোর পূর্বক অপহরণ করে মাইক্রোবাসে করে নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার দিনই (১৬ই এপ্রিল) ওই ছাত্রীর পিতা আমিরুল ইসলাম হরিপুর থানায় অপহরণের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ২৫শে এপ্রিল হরিপুর থানা পুলিশ অভিযোগটি আমলে নিয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমণ আইন (সংশোধন ২০০৩) এর ৭/৩০ ধারায় মামলা রজু করেন। যার মামলা নং-২৫।
স্কুল ছাত্রীর বাবা আমিরুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে অপহরণের দায়ে থানায় মামলা করার পর থেকেই গোলাপের পরিবার ও তার আত্নীয়স্বজনরা বিভিন্নভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি-থামকি দিয়ে আসছে। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হলেও কার্যত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, আমি আমার মেয়েকে দ্রুত জীবিত অবস্থায় ফিরে পেতে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন করছি।
অপহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হরিপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর তাজরুল ইসলাস জানান, আজিজা আক্তার উর্মি (১৬) নামে এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে ২৫শে এপ্রিল হরিপুর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। অপহরণকারীসহ মামলার আসামীদ্বয়কে গ্রেফতারের জন্য জোর প্রচেষ্টা চানালো হচ্ছে। তিনি আরো বলেন মামলার বাদীকে হুমকি-থামকির বিষয়টি আমি স্কুল ছাত্রীর বাবার মুখে শুনেছি। তবে অপরাধ যেই করুক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।