পাবনায় আদিবাসী/ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ হুমায়ূন কবীর।
২৬শে মে বুধবার বেলা ১২ টার দিকে পাবনা জেলার আদিবাসীদের উদ্যোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে বাস্তবায়নাধীন বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতীত) শীর্ষক কর্মসূচীর আওতায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য পাবনা জেলায় বসবাসরত আদিবাসী/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের সহায়তা পরিদর্শন করেছেন তিনি।
এর আগে আতাইকুলা (শাঁখাড়ীপাড়া গ্রামে) পৌঁছালে কমিশনার ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর’কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জাতীয় আদিবাসী পরিষদ পাবনা জেলা শাখা’র সাধারণ সম্পাদক আশিক চন্দ্র বানিয়ার্স।
এসময় আদিবাসী/ক্ষুুদ্র নৃ-গোষ্ঠী প্রত্যয়ন ইস্যু, ভূমিজ, মুন্ডা, লোহার ও বাগদিসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের নামের শেষে পদবী ব্যবহারগত কারনে উদ্ভৃত নানা সমস্যা তুলে ধরেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ পাবনা জেলা শাখা’র সাধারন সম্পাদক আশিক চন্দ্র বানিয়ার্স ও আদিবাসী নেতৃবৃন্দ। এসময় আদিবাসী নেতৃবৃন্দরা বলেন, সরকার কর্তৃক প্রকাশিত বর্তমান গেজেটে যে সকল জাতিসত্ত্বার নাম অর্ন্তভুক্ত রয়েছে ওই সকল তালিকাভুক্ত জাতিসত্ত্বার লোকজন দীর্ঘদিন ধরে নামের শেষে অন্য পদবী ব্যবহার করায় আদিবাসী/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রত্যয়ন ইস্যুসহ বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। গেজেটে তালিকাভুক্ত পাবনা জেলায় ভূমিজ, মুন্ডা, লোহার, বাগদি, ঘাসি মালো সহ অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন বসবাস করছে। এই সকল সম্প্রদায়ের লোকজন দীর্ঘদিন ধরেই নামের শেষে সিং, মুরারী, মুরালী, কর্মকার, সরদার প্রভৃতি পদবী ব্যবহার করছেন। কালের বিবর্তনে মূল পদবী পরিবির্তত হয়েছে বলে জানান তারা। এই অবস্থায় গেজেটে তালিকাভুক্ত জাতিসত্ত্বা হওয়া সত্ত্বেও জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী প্রত্যয়ন ইস্যুসহ অন্যান্য সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। শিক্ষিত বেকার যুবকদের ভবিষ্যত জীবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেও
দাবি করেন তারা।
এবিষয়ে কমিশনার ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর আদিবাসী নেতাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে জানান, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বিশ্লেষণের মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নেতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের নিকট গেজেট সংশোধনী আনতে সুপারিশ সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। এসময় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের উদ্ভৃত এই সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধান করা হবে বলেও জানান তিনি।
পরিদর্শনকালে কবীর মাহমুদ জেলা প্রশাসক পাবনা, মোঃ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম পুলিশ সুপার পাবনা, মোছাঃ তাহমিনা আক্তার রেইনা ইউএনও পাবনা সদর, ওসি আতাইকুলা, খন্দকার আতাউর রহমান চেয়ারম্যান আতাইকুলা ইউনিয়ন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ পাবনা জেলা শাখা’র সহ-সভাপতি সুবল চন্দ্র সিং, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ চাটমোহর উপজেলা শাখা’র সভাপতি কর্ণ মুরারী, আটঘরিয়া উপজেলা শাখা’র আহ্বায়ক গৌর চন্দ্র বাগদি ও সদস্য সচিব অরুন চন্দ্র ভূঁইমালি সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#চলনবিলের আলো / আপন