পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার নুরনগর গ্রামে ফসলি জমি ও রাস্তার পাড়ে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, সরকারি নিয়ম নীতি উপক্ষো করে এলাকার প্রভাবশালীরা পুকুর খননের নামে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে অধিক দামে বিক্রি করছেন। এতে জীব-বৈচিত্র ও পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের নুর-নগর গ্রামের বাসিন্দা ইদ্রীস আলী রাস্থা সংলগ্ন চার বিঘা জমিতে ১০/১৫ জন দিনমুজুর দিয়ে মাটি কাটছেন। জনৈক ইউনিয়ন আ’লীগ নেতার তত্তাবধানে ৩/৪ টি ইঞ্জিনচালিত টলি ওই মাটি বহন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। ওই গ্রামের হাজী ইসাক আলীও একই ভাবে তার ৬ বিঘা ফসলি জমিতে মাটি কেটে পুকুর খনন করছেন। খননকারী ইদ্রিস আলী ও ইসহাক আলীকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, আমার জমিতে আমি পুকুর বানাচ্ছি এজন্য কোনো অনুমতির দরকার নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাওছার হাবীব বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ফসলি জমিতে পুকুর খননের নামে মাটি বিক্রয়ের কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে অবৈধ খননকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
#আপন_ইসলাম