সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা সদর মার্কেটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়ে চলছে ঈদের কেনাকাটা। অনেকেই বলছে, কোথায় গেল স্বাস্থ্যবিধি ? কোথায় স্বাস্থ্য সচেতনতা ? ঈদবাজার, ফুটপাত,দোকান, রাস্তাঘাট সব খানেই তো মানুষের ভিড়? আজ শুক্রবার (৭ মে) সকাল থেকে থানা সদর অগ্রণী ব্যাংক মার্কেট,জনতা ব্যাংক মার্কেট,হাজী সুপার মার্কেট,মহির উদ্দীন সুপার মার্কেট,মোহম্মদ আলী সুপার মার্কেট,শাহজামাল মার্কেট,মাস্টার জাবেদ আলী মার্কেট, চেয়ারম্যান মার্কেট,শাড়ী কাপড় পট্রিতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। এ সময় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কাউকে তেমন স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায় নি। আবার ক্রেতা,বিক্রেতাদের অনেকেরই মুখে নেই মাস্ক। এমনকি শিশু বাচ্চাদের মুখেও মাস্ক না পরিয়ে দেদারছে কেনাকাটায় ব্যস্ত বেশির ভাগ নারী ক্রেতারা। ঈদুল ফিতরের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই ক্রেতাদের ভিড় বেড়েই চলেছে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি কার্যকরে মাঝেমধ্যে প্রশাসন তৎপরতা চালালেও স্বাভাবিক সময়ের মতই চলাচল করছে জনগণ। এ ছাড়াও হাটিকুমরুল ঈমান আলী মার্কেট,ভুইয়াগাতী বাজার, ঘুড়কা বাজার, সাহেবগঞ্জ বাজার সহ আশেপাশের দোকান, বিপনী বিতাণ, রাস্তাঘাট সহ প্রতিটি স্থানেই জনসমাগম লেগেই আছে। রমজানে ভেজাল বিরোধী অভিযান, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রশাসনের অভিযানের খবর পাওয়া মাত্র শুরু হয় দোকানের ধাপাড় বন্ধের হিড়িক। ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেট বা প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেলেই চোরাকারবারি বা দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা ক্ষণিকের জন্য দোকান বন্ধ করে বাইরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। থানার মালতি নগর গ্রামের রেবেকা সুলতানা,পপি,জেসমিন,শাওপাড়ার মনিকা,সুইটি,নাইমুড়ির ফাতেমার সাথে কথা হলে তারা বলেন, বছরের একটা দিন হলো ঈদের দিন। ছেলেমেয়েদের নতুন কাপড়-চোপড় না দিলে কি চলে! নাম পরিচয় না দিয়ে আরও কয়েকজন মহিলা ক্রেতা জানান, নিজের পছন্দমত পোষাক কিনতেই সলঙ্গায় এসেছি। আমাদের শুধু করোনার ভয় দেখান, আমাদের করোনা ধরবেনা ইনশাআল্লাহ। বাজারের সাংস্কৃতিক মনা ব্যক্তিত্ব ইদ্রিস আলী,শাফি মেম্বর,মাজেদ দোকান্দার,প্রভাষক আ: মান্নান জানান,যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বার বার জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু জনগণ মানছে না। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে সরকারের তৎপরতার পাশাপাশি জনগণকেও সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানান তারা।
#আপন_ইসলাম