পাবনার ভাংগুড়ায় করোনাভাইরাস মহামারিতেও ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নিত্য রঞ্জন হাওলাদারসহ তার পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে দিলপাশার ইউনিয়নের দিল পাশার গ্রামে। নিত্য রঞ্জন হাওলাদার দিলপাশার গ্রামের শংকর হাওলাদারের ছেলে। জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই গ্রামের আনসার আলীর ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩২) নামের সাথে বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে ২২/০৪/২০২১ ইং বিকেল ৩.৩০ ঘটিকার সময় শ্রী নিত্যরঞ্জন কালী মন্দির থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে জনৈক মোঃ শহিদুল ইসলাম (৪০) গালিগালাজ করতে থাকে তখন নিত্যরঞ্জন গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে শহিদুল শ্রী নিত্যরঞ্জন এর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে,ইউকালেক্টর গাছের ডাল দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলাফুলা যখম করে।
তখন নিত্যরঞ্জন হাওলাদার চিৎকার ডাকাডাকি শুরু করলে উপস্থিত , জনি, রনি ওয়াজেদ আলী সরকার সর্ব সাং দিলপাশার, ভাঙ্গুরা, পাবনা সহ আরো কয়েকজন এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করে। শহিদুল ঘটনাস্থল ত্যাগ করার আগে পুনরায় মারপিট খুন জখম করবে মর্মে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল হতে চলে যায়। ঘটনার সংবাদ শুনে তার ভাই চিত্ত রঞ্জন( ৩৫) ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ভাইকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন । জানা যায় এক বছর আগে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি মামলা করা হয়েছিল শহিদুল গং দের বিরুদ্ধে । এ বিষয়ে দিলপাশার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার ঘোষ পনো ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং দোষীদের শাস্তির দাবি করেন|
এ বিষয়ে ভাংগুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন মারপিট ঘটনার একটা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের আইনের আওতায় আনা হবে।