প্রাণঘাতী করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় আগের মত ইফতারী বিক্রি নেই। জীবন জীবিকার তাগিদে দোকানীরা কোনমতে ইফতারী বিক্রি করছে। বিকেল ৫ টার মধ্যে দোকান পাট বন্ধে সরকারী নিষেধাজ্ঞা থাকায় ক্রেতা কম বলে অভিযোগ অনেক দোকানীদের। তাই ইফতারী কেনাবেচায় মধ্যে নেই তেমন উৎসবের আমেজ। কঠোর লকডাউনে বিকেলের পর মানুষের আনাগোনা অনেকটাই কমে গেছে। আজ রবিবার (১৮ এপ্রিল) সলঙ্গা থানা সদর, হাটিকুমরুল রোড,সাহেবগঞ্জ বাজার, নলকা
মোড়,ঘুড়কা,ভুইয়াগাঁতী,মালতিনগর,আমতলা,জোড়দিঘি,দবিরগঞ্জ,হরিনচড়া সহ ৬ টি ইউনিয়নের গুরুত্বপুর্ণ স্থানগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন হোটেলের পাশাপাশি বাইরে বসেছে অনেক অস্থায়ী ইফতারী দোকান। তবে গত বছরের মত এবারও ক্রেতাশুন্য মনে হচ্ছে ইফতারী দোকানগুলোতে। সলঙ্গার ঘোল ব্যবসায়ী মাসুদ রানা বলেন,প্রতি বছর সলপের নামকরা ঘোল যেভাবে বিক্রি করি,এবার তার অর্ধেকও কেনাবেচা হচ্ছেনা। সলঙ্গার চিরচেনা, সুপরিচিত আলিম মিষ্টান্ন এন্ড হোটেলের মালিক আলহাজ্ব আব্দুল আলিম বলেন,জিলাপী,ছোলা,বুন্দী,মুড়ি,সমুচা,শিঙারা,নিমকি,খেজুর,বেগুনি,বরা,আলুর চপ, ঘোল সহ বিভিন্ন আইটেম ইফতারী তৈরী করেছি। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। অনেকে আবার করোনার লকডাউনে বাড়ির আশেপাশের দোকান থেকেই ইফতার কিনছেন। আগের মত বিক্রি না থাকলেও জীবন জীবিকার তাগিদে ব্যবসা ধরে রাখতে হচ্ছে।
#CBALO/আপন ইসলাম