ময়মনসিংহের নান্দাইলে পিঞ্জুরা খাতুন (৭০) নামে এক বিধবা মহিলা আট বৎসর ধরে শিঁকলে বাধা তাঁর মেয়েকে নিয়ে খুবই মানবেতর জীবন-যাপন করছে। বিধবা পিঞ্জুরা খাতুন উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের পূর্বকান্দা গ্রামের মৃত চান্দু মিয়ার স্ত্রী। তিনি ভাঙ্গা একটি ছাপড়া ঘরে আট বৎসর ধরে মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে অতিকষ্টে বসবাস করে আসছে। বসবাসের অনুপযোগী উক্ত ঘরের একপাশে স্বামী পরিত্যক্তা আসমা খাতুন (৩০) নামে তাঁর মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়ের বাসস্থান এবং অন্যপাশে বিধবা পিঞ্জুরা খাতুন নিজের অবস্থান। সরজমিন গিয়ে দেখাযায়, একটি কাঠের ভাঙ্গা চৌকির সাথে মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়ের পা শিঁকলে বাধা রয়েছে। অর্থাভাবের কারনে মা-মেয়ের নাই কোন বিছানাপত্র, নাই কোন মশারি ও ভালো খাবার-দাবার।
রোদ-বৃষ্টি ঝড়ে ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণের মধ্যেই এভাবেই খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে তারা। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, পিঞ্জুরা খাতুন অভাবের তাড়নায় তাঁর মেয়ে আসমা খাতুনকে অল্প বয়সে বিয়ে দিলে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর থেকেই তার মাথার সমস্যা হয়। এরপর স্বামীর বাড়ি থেকে ফিরত আসে মেয়েটি। কিন্তুু অর্থাভাবে ভালো চিকিৎসা করাতে পারিনি আসমার। বর্তমানে আট বৎসর ধরে তাকে শিঁকলে বেধে রাখতে বাধ্য হয়েছে মা পিঞ্জুরা খাতুন। পিঞ্জুরা খাতুন জানান, মানুষের বাড়িতে কাজ-কর্ম করে অনেক কষ্ট করে তাকে (মেয়েকে) ও আমি দুমুঠো খেয়ে না খেয়ে পড়ে থাকি। বয়স্ক ভাতার টাকা দিয়েও জীবন চলে না। বর্তমানে চৈত্রিক মাসে খুবই কষ্টে আছি।
না: পারি মরতে, না পারি- বাবা বাঁচতে। স্থানীয় ইউপি সদস্য জিলু মিয়া জানান, পিঞ্জুরা খাতুনকে বয়স্কা ভাতা কার্ড করে দিয়েছি। এছাড়াও সরকারি দান-অনুদান তাকে দিয়ে আসছি। কিন্তু সরকারিভাবে বড় ধরনের কোন সহায়তা পেলে তার মেয়ের সুচিকিৎসা ও একটু আশ্রয়ের ব্যবস্থাকরা সম্ভব হবে।
#CBALO/আপন ইসলাম