শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

নীলফামারীতে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি সচেতনতা

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: সোমবার, ৪ মে, ২০২০, ১২:১৭ অপরাহ্ণ

হিমেল চন্দ্র রায়,নীলফামারি জেলা প্রতিনিধিঃ

সারাদেশের ন্যায় নীলফামারীতেও লাফিয়ে লাগিয়ে মহামারী করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলেও জনগনের মাঝে এখনও বাড়েনি সচেতনতা। সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে প্রশাসন নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও জীবন-জীবিকার তাগিদে তা মানছেন না অনেকেই। আবার কেউ কেউ কোন কারণ ছাড়াই শুধুমাত্র মুখে একটি মাস্ক পড়েই দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন শহরের বিভিন্ন স্থানে। মাঝে মাঝে পুলিশের জেড়ার মুখে পড়লেও, নানা অযুহাতে পার পেয়ে যাচ্ছেন নাকের নীচে মাস্ক পড়া এসব অসচেতন মানুষজন।
গত ২ মে নীলফামারীর সৈয়দপুরের একটি ব্যাংকের ৪জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট হাতে পায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এঁদের মধ্যে একজন জেলা সদরের পৌর এলাকার প্রগতিপাড়ায় ভাড়া বাড়ীতে বসবাস করেন। তাঁরা সকলেই কমিউনিটি ট্রান্সমিশনে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্ম্মন।
সূত্র মতে, গত ৩ মে জেলায় মোট করোনা সনাক্ত হয়েছেন ২১জন। কোভিট-১৯ প্রমাণিত রোগী আইসলুশনে চিকিৎসাধীনে থেকে সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ৬ জন। এছাড়াও জেলায় করোনায় কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি।
এদিকে, আজ সোমবার শহরের ব্যস্ততম হাট-বাজার ও রাস্তাঘাটে দেখা মিলেছে জনসমূদ্র্যের মধ্যে জনস্রোত। সামাজিক দুরত্বের বালাই নেই এসব ব্যস্ততম হাট-বাজার ও শহরের রাস্তা গুলিতে। এরফলে শহর জুড়েই বৈছে করোনা ট্রান্সমিশণের ঝুঁকি। অপর দিকে, করোনা সংক্রমন ঝুঁকি মাথায় নিয়েই হাট-বাজার গুলোতে বাধ্য হয়েই পন্য কেনা-বেচা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা বলে জানালেন জেলা সদরের বড় বাজারে পন্য বিক্রি করতে আসা পন্য ব্যবসায়ীরা।
বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, “জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হলেও জনগনের কাছ থেকে আশানুরুপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না”। তিনি আরো বলেন, “আমরা জেলায় ১১টি স্পর্ট নির্ধারণ করে জেলার বাইরে থেকে কোন যেন ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা করেছি। পাশাপাশি যারা বাইরের জেলা থেকে এসেছে তাদেরও কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার পরেও বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন পায়ে হেটে যারা ঢুকে তথ্য গোপন করছে তারা আমাদের জন্য খুবই আতঙ্কের বিষয়। প্রশাসনকে দেখলেই তারা সরে যায়, আবার আমরা ফিরে আসার পরে, তারা আবার চলে আসে”।
“তথ্য গোপন নয়, বরং তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহায়তার আহ্বান জানিয়ে অচিরেই এই করোনা মহামারী রোধ হবে” এমন প্রত্যাশাও করেন জেলা প্রশাসক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর