রুবিনা আজাদ, আঞ্চলিক প্রতিনিধি:
জৈষ্ঠের প্রখর খরতাপে তীব্র তাপদাহে একটু স্বস্তির পরশ আর তৃষ্ণা মেটাতে এখন পানিতালের দোকানে বাড়ছে ভরি। ধনী-দরিদ্র আর শিশু-বুড়ো সকল মানুষের কাছে প্রকৃতির উপহার মধু মাসের ফল পানি তালের কদর বেড়েছে। ব্যবসায়িরাও সুযোগে বাড়িয়ে দিয়েছে তালের দাম। আগৈলঝাড়া উপজেলা সদর ও বিভিন্ন এলাকার প্রত্যন্ত হাট বাজারেসহ বিভিন্ন সড়কের মোড়ে বিক্রেতারা এখন হরদমে বিক্রি করছেন প্রকৃতির অনন্য উপহার পানি তাল। মৌসুমী ফল বিক্রেতারা বাজারের পাশে, ভ্যানে করে পাড়া ও মহল্লায় ঘুরে ঘুরে পানি তাল বিক্রি করতে দেখা গেছে।
উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল ঘুরে গাছ থেকে পানি তাল কিনে তা বিক্রি করে জিবীকা নির্বাহ করছেন এলাকার মৌসুমী ব্যবসায়ি। রাজিহার গ্রামের পানি তাল বিক্রেতা মো. রশিদ মোল্লা জানান, প্রতি বছর বৈশাখ ও জৈষ্ঠ মাসে তিনি গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে তাল কিনে তা বিক্রি করে আসছেন। এবছর গরম বেশী হওয়ায়য় এবং কোন রকম ফরমালিন বা মানব দেহের ক্ষতিকারক কিছু মেশানো সম্ভব নয় বলে তালের চাহিদা বেড়েছে বহুগুন। তকে করোনার প্রভাবে হাট বাজারে লোকজন কম ওঠায় এবং স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় বিক্রি কিছুটা কম।
তিনি আরও জানান, শ্রমিক দিয়ে গাছ থেকে তাল কাটতে খরচ অনেক বেড়েছে। তারা গাছ থেকে প্রতিটি তাল পাইকারী হিসেবে কিনছেন ২থেকে ৩টাকায়, এর পর তা কাটাতে শ্রমিককে দিতে হয় ২শ থেকে ৩শ টাকা। প্রতিটি পানি তাল বিক্রি করছেন ৫ থেকে ৮টাকায়। ভাল ফল হিসেবে সকল বয়সীদের কাছেই পানি তালের চাহিদা রয়েছে জানিয়ে একটু বেশী মূল্যে এ মৌসুমী ফল বিক্রি করতে হচ্ছে বলেও তিনি বলেন পাকা তাল থেকে পানি তালের চাহিদা রয়েছে সবার কাছে। চলতি মৌসুমে তালের ফলন বেশ ভাল হয়েছে বলেও জানান তিনি।