শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:০২ অপরাহ্ন

ই-পেপার

বরিশালে মৃত ব্যক্তিদের ভোট দেয়া ছয়টি ব্যালট নিয়ে রহস্য

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৪:২৭ অপরাহ্ণ

একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রতীকে সিল দেয়া ছয়টি ব্যালট কোথা থেকে এসেছে। রবিন নামের ওই প্রার্থীর সমর্থক সিল দেয়া ব্যালট বাক্সে ঢোকানোর সময় এজেন্টদের হাতে ধরা পরার পরেও কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি ভোটার তালিকায় থাকা মৃত ব্যক্তিদের নামের ভোটগুলোও কেমন করে দেয়া হয়েছে। এনিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডের মাহমুদিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে। মঙ্গলবার সকালে ২নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট জালিয়াতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ করেন পরাজিত প্রার্থী বানারীপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রাহাদ সুমন।

তিনি এসব অভিযোগ এনে ভোটের দিন ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা আল-আমিনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ফলাফল ঘোষণা না দিয়ে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েও কোন সুফল পাননি। উল্টো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অভিযোগের সত্যতা পেয়েও নির্বাচন স্থগিত না করে কিংবা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ফলাফল ঘোষণা করেছেন।

রাহাদ সুমন বলেন, তার প্রতিদ্বন্ধী কাউন্সিলর প্রার্থী মনির হোসেনের ফুফাতো ভাই উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জালিস মাহমুদ রুবেল ছিলেন মাহমুদিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার। তার সহযোগিতায় সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে অসংখ্য ব্যালট পেপারে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে সিল মেরে রাখা হয়েছিলো। যা মনিরের বিভিন্ন সমর্থকদের মাধ্যমে বাক্সে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। এরমধ্য থেকে বাদ যায়নি ভোটার তালিকায় থাকা মৃত ব্যক্তিরাও। তাদের নামেও ভোট দেয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও উল্লেখ করেন পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী, স্থানীয় প্রেসক্লাবের টানা ১৫ বার নির্বাচিত সভাপতি ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাহাদ সুমন।

পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী রাহাদ সুমনের উটপাখি মার্কার এজেন্ট ফয়েজ আহম্মেদ শাওন জানান, মনির হোসেনের টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে আগে সিল দেওয়া ছয়টি ব্যালট পেপার তার সমর্থক রবিন একত্রে বাক্সে ফেলার সময় তিনি তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এসময় তাকে ধাক্কা মেরে রবিন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার নুরুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ওই কেন্দ্রে এসে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরেও শুধু ওই ব্যালট ছয়টি বাতিল করেন।

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর