সোহাগ গাজী-দিনাজপুর চিরিরবন্দরে একযোগে শুরু হয়েছে বোরে চাষের চারা রোপণ। তীব্র শীত উপেক্ষা করে বাড়ছে কৃষকদের কর্মব্যস্ততা। জমি তৈরি, হালচাষ, বোরো ধানের চারা বীজতলা থেকে উঠানো শেষে এবার চারা জমিতে রোপণের মতো কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চিররবন্দরের কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো আবাদে তেমন সমস্যা হবে না বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বেশিরভাগ ফসলি জমিতে কেউ কেউ ট্রাকটর দিয়ে হাল চাষ করছেন। কেউ কেউ স্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছেন, আবার কেউ বা ধানের চারা বীজতলা থেকে উঠাচ্ছেন। বেশকিছু জমিতে আবার অনেকে চারা রোপণ করেছেন।
কৃষক নজরুল মিয়া জানান, তিনি দুই একর জমিতে চারা রোপণ করেছেন। প্রতি একর জমিতে চারা রোপণের জন্য ১ হাজার ২০০ টাকা দিয়েছেন। নিজেই ধানের চারা বীজতলা থেকে উঠিয়েছেন।আরেক কৃষক ছবিউল ইসলাম এক একর জমিতে চারা রোপণ করেছেন বীজতলা থেকে চারা উঠানোসহ তিনি শ্রমিকদের দিয়েছেন ১ হাজার ৬০০ টাকা। উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা পাঁচজন করে দলবদ্ধ হয়ে চারা রোপণ করি।প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই একর জমিতে চারা রোপণ করতে পারি, এতে আমাদের ৫০০-৬০০ টাকার মতো প্রতেকদিন ইনকাম করতে পারি, আবার অনেক দিন কাজ থাকেও না। সর্বশেষ মৌসুমে ধানের দাম ভালো থাকায় কৃষকরা বেশ লাভের মুখ দেখেছেন, সেজন্য এবার বোরো ধানের চাষাবাদ বেশি হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মাহামুদুল হাসান বলেন, আলু উত্তলনের পর পরেই বোর ধানের আবাদ শুর করেছে। এবছর চিরিরবন্দর উপজেলায় ২০ হাজার ২৫০ হেক্টোর জমিতে বোর ধানের চাষ হবে। আমাদের কাছ থেকে এখনকার চাষীরা যে সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছে, তারা যদি সেটি সঠিক ভাবে পালন করে ও সঠিক পরিচর্যা করে এবং সাথে সাথে যদি ধান ক্ষেতে পারচিং করে তাহলে দেখা যাবে যে, তারা নিরাপদ ও বিষ মুক্ত উপায়ে বোরধান তুলতে পারবে এবং লাভবান হবে।
CBALO/আপন ইসলাম