টাঙ্গাইলের মধুপুরে এক স্কুলছাত্রী দেড় মাস ধরে নিখোঁজ থাকা সত্ত্বেও উদ্ধার করতে পারেননি পুলিশ।ফলে নিখোঁজ হওয়া ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার চরম হতাশায় ভোগছেন এবং তার আত্মীয়-স্বজনরা আহাজারি করছেন।
নিখোঁজ হওয়া ঐ স্কুলছাত্রী মধুপুর পৌরসভার মাষ্টারপাড়া এলাকার মীর আব্দুল হালিমের মেয়ে তানহানুন মীম (১৪)। তিনি এবার মধুপুর রানী ভবানী মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
আর এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা মনিরা বেগম মধুপুর থানায় বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে গত ২৭ শে ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেছিলেন এবং মামলা নং- ১৩। আসামিরা হচ্ছেন; মধুপুরের বৃত্তিবাড়ী গ্রামের জলিলের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩২), নাহিদুল ইসলাম (২১) ও শালিকা গ্রামের আ. করিমের ছেলে শাহীন (৩০)।
নিখোঁজ হওয়া ওই স্কুলছাত্রীর মা মনিরা বেগম জানান, “মীম মধুপুর রানী ভাবনী মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। দীর্ঘদিন ধরে পাশের বৃত্তিবাড়ী এলাকার আ. জলিলের ছেলে নজরুল ইসলাম মীমকে প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছিল এবং তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় রাস্তায় আসা-যাওয়ার পথে আমার মেয়েকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতো এবং উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে করার হুমকীও প্রদান করতো।”
উল্লেখ্য যে, গত ১৪ ই ডিসেম্বর ২০২০ ইং সন্ধ্যায় মীম তার নানার বাড়ী মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের ব্রাক্ষণবাড়ী থেকে বাড়ী ফেরার পথে ব্রাক্ষণবাড়ী মজিদচালা গ্রামের রাস্তায় আল-আমিনের মনোহারী দোকানের সামনে পৌঁছলে নজরুলসহ তার ৩/৪ জন সহযোগীরা মিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মীমকে গতিরোধ করে অপহরণ করে সিএনজি যোগে তুলে নিয়ে যান। তারপর খবর পেয়ে মীমের বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনসহ অনেকে খোঁজাখুঁজি করে মীমকে। কিন্তু কোথাও না পেয়ে পরদিন ১৫ ই ডিসেম্বর মধুপুর থানায় মীমের দাদা খোরশেদ আলী সাধারণ ডায়রী করেছিলেন। ডায়রী নং ৫৮২।
মীমের মা-বা কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, অপহরণের দেড় মাস পার হয়ে গেলেও পুলিশ আমাদের মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেননি এমনকি একজন আসামীকেও এখন পর্যন্ত মধুপুর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেননি। মামলা করার কারণে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। নজরুলের পরিবার আমাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকিও দিচ্ছে। আমাদের মেয়েকে আমরা ফিরে পেতে চাই। এজন্য প্রশাসনসহ উর্ধ্বতন কর্মতকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করছি।”
আর এ ব্যাপারে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারিক কামাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, “এ মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) সুশান্তকে। আসামীদেরকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুতই সবাইকে গ্রেপ্তার করতে পারবো বলে আশা করছি।”
CBALO/আপন ইসলাম