সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তখনকার বিরোধী দলীয় নেতা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় সাবেক সাংসদসহ ৫০ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রয়ারি) সকালে সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবীরের বেঞ্চ এ রায় দেন। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এসএম মুনীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রায়ে সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ রিপনসহ মোট তিনজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। সর্বনিম্ন দণ্ড চার বছর। এদিন সকালে জেলহাজতে থাকা ৩৪ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে তোলা হয়। অপর ১৬ জনের মধ্যে একজন অন্য মামলায় জেলে রয়েছেন। এছাড়া পলাতক রয়েছেন ১৫ জন। সবকিছু আমলে নিয়ে রায় ঘোষণা করেন বিচারকরা। ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে যান।
সেখান থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলার কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলা হয়। এ নিয়ে তখনকার সাতক্ষীরা-১ আসনের সাংসদ হাবিবসহ দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে র অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা করেন। পরে আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং সাবেক সাংসদসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে স্বাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ সফিকুল ইসলাম। পরে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামিপক্ষের আপিল আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন উচ্চতর আদালত।
CBALO/আপন ইসলাম