বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

লোহাগাড়ায় প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুঃ পলাতক দেবর

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: বুধবার, ২৭ মে, ২০২০, ৫:০৫ অপরাহ্ণ

অমিত কর্মকার, লোহাগাড়াঃ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ভবানী পুর আজিজ ডাক্তারের পাড়ায় ২৪ মে দুপুরে সৌদিয়া প্রবাসীর এক স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সে তিন সন্তানের জননী বলে জানা গেছে । এ গৃহবধুর রহস্যজনক মত্যুকে ঘিরে চলছে এলাকায় নানা গুঞ্জন। এটি কি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে এলাকাবাসীর সন্দহের শেষ নেই। তবে, ঘটনার পর থেকেই নিহত গৃহবধূর দেবর মামুন পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।

নিহত গৃহবধুর নাম অাঞ্জুমান আক্তার গিন্নী(২৮ )। সে ওই এলাকার সৌদি প্রবাসী নুরুল আলমের স্ত্রী। নিহত গৃহবধূর ছোট ভাই মুহাম্মদ আলী জানান, দেবর মামুন ও তার ২ জা`র সাথে বাড়ির সীমনা নিয়ে তাঁর বোন আঞ্জুমান আক্তার গিন্নীর পারিবারিক বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরে প্রায় সময়ই কথা কাটাকাটি সৃষ্টি হতো। ঘটনার দিন ফজরের নামাজের পর গিন্নীর সাথে অামার শেষ কথা হয়। তাদের বাড়ির পাশের আমার এক খালাতো বোনের মাধ্যমে বোন গিন্নীর মৃত্যুর খবরটি পেয়ে সাথে সাথে তার শ্বশুর বাড়ি গিয়ে গিন্নীর লাশ খাটে পড়ে থাকতে দেখে আমি অবাক হয়ে পড়ি।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক সীমানা বিরোধের জের ধরে দেবর মামুন ও ২ জাঁ মিলে পরিকল্পিতভাবে আমার বোন গিন্নীকে হত্যা করেছে। আমি বোন গিন্নী হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের জোর দাবী করেন। এদিকে, সোমবার (২৫ মে) ঈদুল ফিতরের দিন আছর নামাজের পর শ্বশুর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে নিহত গিন্নীর লাশ দাফন করা হয়েছে। মাকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ অবুঝ তিন শিশু : নিহত গৃহবধু গিন্নীর ৪ বছর বয়সী এক ছেলে, ৩ বছর ও ৬ মাস বয়সী দুই মেয়ে মাকে হারিয়ে অঝোরে কান্না করছে অবুঝ শিশুরা। বার বার কান্নায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ছিলেন তারা। তাদের সান্তনা দেয়ার মতো কারো কোন ভাষা নেই।

এখন মা হারা এ অবুঝ শিশুদের কান্না থামাবে কে ? গিন্নীর বড় ছেলে শিশু নোমানের (৪) কাছে জানতে চাইলে সে বলেন, মামুন বাবা আমার আম্মুকে মেরেছে। লাথি মেরেছে। এরপর আর কিছু বলতে পারতেছেনা। তবে, গৃহবধু গিন্নীর মৃত্যেুর ঘটনায় সুষ্টু তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে বড়হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যানএমডি জুনাঈদ চৌধুরী বলেন, মামুন খুব খারাপ ছেলে। সে সবসময় মাদক সেবন করতো। এলাকাবাসী থেকে জানতে পারলাম সে প্রায়ই ভাবী গিন্নীকে মারধর করতো। ঘটনারদিনও সে রড দিয়ে গিন্নীকে মারধর করে। এখন মারধরের অপমান সহ্য করতে না পেরে গিন্নী আত্নহত্যা করলো, নাকি গিন্নীকে মেরে লাশটি ঝুলিয়ে দিলো ঠিক বুঝতে পারছি না। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিষয়টি পরিস্কার হবে।

লোহাগাড়া থানার ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, মৃত গৃহবধু গিন্নীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় গৃহবধু গিন্নীর বড় ভাই মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে দেবর মামুন ও দুই জাঁ’কে আসামী করে দন্ডবিধী ৩০৬ ধারামতে লোহাগাড়া থানায় আত্নহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দেবর মামুনকে আটক করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর