তাপস মহালদার,খুলনা:
খুলনার দাকোপ উপজেলায় কামারখোলা ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জি,এম,হেলাল আহম্মেদ পিতা মৃঃ কাদের আহম্মেদ একজন সৎ ও নিরীহ মানুষ। এ অঞ্চল আগে লবন পানির মাছ চাষে বিখ্যাত ছিল। বর্তমানে ওয়াপদার কারনে লবন পানি বেশির ভাগ রোধ হলে মানুষ বিভিন্নভাবে ফসল ফলানোর চেষ্টা করছে। সেই সুত্র ধরে নিজের জমিতে হেলাল আহম্মেদ একবিঘা সবজি চাষের আওতায় এনে চাষ শুরু করেন। তার সংগে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ” লবন পানির চেয়ে বর্তমানে ভালো আছি। এবার সবার আগে ওলকপি বাজারজাত করে ৮০/- টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। এখন বেগুন আছে, দ্যাখেন প্রতি গাছে ৪/৫ টা বড় ও অসংখ্য জালি”।
উদ্যোগ ও চাষ পদ্ধতির কথায় বলেন, ” আমি নিজে বাড়িতে কম্পোস্ট সার তৈরি করি। নিজে যতটুকু বুঝি সেইভাবে চাষ করছি। কৃষি অফিসের পরামর্শ নেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে বলেন, আমি সেভাবে কাউকে পাইনা। তবে কৃষি অফিসের পরামর্শ পেলে মনে হয় আরও বেশি উন্নতি করতে পারতাম। একই ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ রাজ্জাক গাজী বলেন, হেলাল আহম্মেদ সবজি চাষে সফল। তাকে অনুসরন করে এলাকায় আরও অনেকে সবজি চাষে উৎসাহী।
সবজি চাষী হেলাল আহম্মেদ আরও বলেন, ” আমি সবজি চাষ করে মানসিকভাবে খুবই তৃপ্তি পাচ্ছি এবং আর্থিক ভাবেও লাভবান হচ্ছি। সেইসাথে আপনাদের লেখনির মাধ্যমে কৃষি বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করি। যাতে কৃষি বিভাগের আধুনিক পদ্ধতির পরামর্শ পেয়ে অধিক ফসল পাই এবং এলাকার মানুষের সবজির ঘাটতি মিটিয়ে জনগন ও দেশ সেবায় অংশ নিতে পারি।
CBALO/আপন ইসলাম