রুবিনা আজাদ, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল:
দেশে যখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে সেই সময়ে নগরীর মার্কেটগুলোতে উপচেপরা ভিড় জমেছে।
প্রতিদিন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সচেতনতার পাশাপাশি জরিমানা করা সত্বেও নগরীর মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনাকাটায় সরকারের সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছেনা। ফলে আজ মঙ্গলবার থেকে ফের মার্কেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সোমবার জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জানান, করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু কিংবা বন্ধ করার বিষয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য চালুর নির্দেশনা থাকলেও অধিকাংশ দোকান-পাট ও শপিংমলগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাগণ সেটি প্রতিপালন করেননি। ফলে জেলায় করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সভার সম্মিলিত সিদ্ধান্তে প্রশাসন ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরায় আজ মঙ্গলবার থেকে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রবিবার বিকেলের ওই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট রাজিব আহমেদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (দণি) মোঃ মোক্তার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ সরদার, জেলা বাজার কর্মকর্তা হাসান সারওয়ার, উপ-মহাপরিদর্শক কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর হিমন কুমার সাহা, কোতোয়ালি থানার ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম পিপিএম সহ বিভিন্ন বাজার কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ।
সূত্রমতে, গত ১০ মে থেকে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত মার্কেট ও সব দোকানপাট খোলার অনুমতি দিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন। তবে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই নগরীর দোকানগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে অবাধে কেনা-বেচা করছেন। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় প্রতিদিনই নগরীসহ জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরনের লক্ষ্যে সচেতনামূলক মাইকিং ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। সর্বশেষ রবিবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ছয়জন ক্রেতাকে মোট ছয় হাজার দুই’শ টাকা জরিমানা করেন। অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট নাজমূল হুদা ও শাহাদাৎ হোসেন। ভ্রাম্যমান আদালতের এসব অভিযান ও জরিমানার পরেও মার্কেটগুলোতে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছেনা।