মো: আনোয়ার হোসেন , (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) নবীনগর প্রতিনিধি:
নবীনগরে চলতি সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত একই পরিবারের ১২ জনের সুস্থ হওয়া’র খবর এবং নতুন কোন আক্রান্ত না হওয়ার খবরে গোটা উপজেলায় যখন স্বস্তির বাতাশ বইছে ঠিক তখনি নতুন করে তিনজন আক্রান্ত হওয়ার খবরে বিষাদের ছায়া নেমে আসে পূরো নবীনগর উপজেলার সবার মনে। নতুন করে করোনায় শনাক্ত হওয়া তিন জনের মধ্যো দুইজন পুরুষ ও একজন মহিলা।আক্রান্তরা হলেন উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের মানিকনগর বাজার সংলগ্ন এলাকার মীর হোসেন মিয়ার মেয়ে – আসমা বেগম( ২৬) নবীনগর সদরের পশ্চিমপাড়ার এক ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার ও বগডহর গ্রামের মনির নামে এক ব্যাক্তি আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সবচেয়ে আতংকের বিষয় হচ্ছে,নবীনগরের সদরের পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকা আক্রান্ত হওয়া মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া (৪৫) বিকন ফার্মা নামের ওষুধ প্রতিষ্ঠানে এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে চাকরিরত।রিপোর্ট পাওয়ার আগ পর্যন্ত নবীনগরের বিভিন্ন মার্কেটে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তিনি যেখানে যেখানে ডিউটি করেছেন, সেখানে অর্থাৎ সেইসব ঔষধের দোকানের মালিক কর্মচারীরা আছেন আতংকে।রাতে রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর তাকে আইসোলেসনে নেওয়া হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে। তবে বগডহর গ্রামে আক্রান্ত মনির ঢাকা থেকে বেড়াতে এসেছিলেন এবং গতকাল করোনা আক্রান্তের খবরে পালিয়ে গেছেন বলে এলাকাবাসী নিশ্চিত করেছেন।
এলাকাবাসী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক খোজাখোজির পরে জানা গেছে তিনি বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন বলে তার আত্বিয় স্বজনরা নিশ্চিত করেছেন। শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের মানিকনগর বাজার সংলগ্ন গৃহবধূ তার নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন। শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও এলাকার সচেতন নাগরিকগন মিলে তার বাড়িটি লকডাউন করে রেখেছে। বাড়িতে প্রবেশের রাস্তায় লাল নিশান দিয়ে সকলকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।