মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

লক্ষ্মীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে  যুবককে পিটিয়ে  জখম

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: রবিবার, ১৭ মে, ২০২০, ৯:২০ পূর্বাহ্ণ

তানভীর আহমেদ রিমন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আরিফ হোসেন (২৮) নামে এক যুবককে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

শুক্রবার (১৫ মে) ভোর ৬টার দিকে জেলার পৌর এলাকার ১১ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের জিনাত আলী পাওয়ারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হামলার শিকার ও হামলাকারীদের পক্ষ থেকে থানায় পাল্টাপাল্টি পৃথক দুইটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

আরিফ হোসেন ওই বাড়ির সিরাজ মিয়ার পুত্র। হামলাকারীরা হলেন একই বাড়ির আবদুল হাসিমের পুত্র মোস্তফা কামাল, আবুল কালাম পাটওয়ারী (৫৫) সহ পরিবারের লোকজন।

স্থানীয়রা জানায়,  দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে পৌর এলাকার দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের জিনাত আলী পাওয়ারী বাড়ির আবু তাহের মাষ্টারদের সাথে একই বাড়ির আবদুল হাসিমদের সাথে ১৫ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা হলে বিবাদী আবদুল হালিমদের বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার ডিক্রী দেয় সহকারী জজ আদালত, রামগতি, লক্ষ্মীপুর।

গত কয়েকদিন আগে বিবাদী পক্ষের মোস্তফা কামাল নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই বিতর্কিত জমিতে জোরপূর্বক স্থায়ী ইমারত নির্মাণ শুরু করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।

বাদি পক্ষ অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষ মোস্তফা কামাল বেপরোয়া প্রকৃতির হওয়ায় প্রতিনিয়ত হামলা এবং মামলার হুমকি দিয়ে আসছিলো বাদি পক্ষের লোকজনদের। এরই পরিপেক্ষিতে শুক্রবার সকালে বাদি আবু তাহেরের পক্ষের লোক আরিফের উপর হামলা করে মোস্তফা কামাল ও তার পরিবারের লোকজন। এতে তার মাথা লয় গুরুতর জখন হয়। পরে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

এ ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ভূক্তভোগী আরিফের পক্ষ হয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক নারী বাদি হয়ে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে ৫ জনকে।

অন্যদিকে ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে নিজেদের ঘরের দরজা-জানাল ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠেছে আরিফের হামলাকারীদের বিরুদ্ধে।

আবু তাহের মাষ্টারদের পরিবারের লোকজন দাবি করেন, আরিফকে মারধর করার পর মোস্তাফা কামাল নিজেই বাড়ির লোকজনের উপস্থিতিতে তার নিজের ঘরে ভাঙচুরের নাটক করে। পরে এ ঘটনায় তিনিও সদর থানায় ঘরের দরজা-জানালা ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে থানায় এজাহার দায়ের করেন। এতে রড লুটের অভিযোগ আনা হলেও স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি।

মোস্তফা কামাল যাকে মারধর করেছেন থানায় দায়েরকৃত এজাহারে তাকে প্রদান আসামী করে এবং আবু তাহের মাষ্টার ও তাঁর পরিবারের আরও ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে অভিযুক্ত করেছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোস্তফা কামাল মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। উল্টো তিনি নিজেই হামলার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর