মাসুদ রানা আটঘরিয়া(পাবনা) প্রতিনিধি:
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের রামেশ^রপুর, দূর্গাপুর, রামচন্দ্রপর, নাদুরিয়া, পারখিদিপুর, খিদিরপুর, গোকুল নগর এলাকার শিম চাষি আলহাজ উদ্দিন, আলাউদ্দিন, নুরুজ্জামান,শাহিন, মজিবর, গোলাজার হোসেন সহ ২০ থেকে ৩০ জনের সাথে কথা হয় তারা বলেন, আমাদের এই এলাকা শিম সাগর নামে পরিচিত। এই আগাম জাতের রুপবান, চকলেট শিম ক্ষুদ্র শিম চাষিদের কাছ থেকে কিনে দেশের বিভিন্ন জায়গা পাইকারি হিসেবে বিক্রয় করেন ছোট বড় শিম ব্যবসায়রিা। ইতোমধ্যে কৃষককেরা আগাম জাতের রুপবান ও চকলেট শিম বাজারে বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছে। এবং আশানুরুপ দামও তিনি পেয়েছেন বলে জানান তারা। তবে আগাম জাতের শিম চাষ লাভজনক।
আগাম জাতের শিম সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, শিম গাছ ও পাতা সবুজ ফুল ও ফল রঙিল যাকে বলা হয় রুপবান শিম, গাছে গাছে বেগুনি ফুলের অপরুপ সমারোহ আর আকাবাকা লতা গাছই যেন একে রুপবান শিমের নাম দিয়েছে। সাধারনত শীত মৌসুম ছাড়া বছরের অন্য সময়টাতে শিম চাষ না হলেও শিম রাজ্য হিসেবে খ্যাত আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই এলাকার কৃষকের কাছে। এই এলাকায় রুপবান শিম চাষে কৃষকের মুখে এখন হাসি আর হাসি ফুটছে। এশিম চাষে কৃষকের আগ্রহের কোনো কমতি নেই তাদের এক আলহাজ আলী।
রুপবান শিম চাষি আলহাজ বলেন, মাজপাড়া এলাকায় আমার মতো অনেকেই রপবান চাষে ঝঁকছেন। যা এলাকায় চোখে পড়ার মতো। এবছর আমি রুপবান শিমের বীজ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি বাবদ প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছি। তাই আমি প্রতি বছর এই শিম বিক্রি করে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা শিম বিক্রি করি। এবছরও আমি ফলন দামের প্রতি আশাবাদি। তাদের প্রতেক্যই অতিতের মতো বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ার আশাবাদী। রুপবান শিমের দামও বেশি। দাম ও ফলনকে প্রাধান্য দিয়ে রুপবান শিম চাষে আগ্রহ হচ্ছে কৃষকরা। তবে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগিতা ও পরামর্শ পেলে রুপবান চার্ষী বাড়বে বলে জানান কৃষকেরা।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার রোখশানা কামরুনাহার বলেন, আটঘরিয়া উপজেলা পাঁচটি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় বর্তমানে এবছর ১৫৫০ হেক্টর জমিতে শিমের হয়েছে। গত বছর ১৬৮৭ হেক্টর জমিতে শিমের আবাদ হয়। তবে এই উপজেলার ১৫০০জন কৃষক এই শিম আবাদের সাথে অতপর ভাবে জড়িত। তবে আগাম জাতের শিম বর্তমানে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে কৃষক।
শিম উৎপাদন বৃদ্ধি করতে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে সব সময় কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। ভালোভাবে বর্ষা মৌসুমে শিমের বীজ সংগ্রহ করতে পারলে আগামীতে এজাতীয় শিমের চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরো বলেন, অটো, চকলেট ও রুপবান শিম চাষে খরচ তুলনা মূলক ভাবে বেশি হলেও এশিমের বাজার দরও বেশি। ফলে কৃষকরাও শিমে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
#CBALO/আপন ইসলাম