আব্দুল্লাহ ফছিয়ার নড়াইল থেকে:
নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে এখন থেকে মাত্র ৪৫ মিনিটেই করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা যাবে। নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক ক্রিকেট তারকা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার আন্তরিক সহযোগিতায় স্থাপিত হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃত,যুক্তরাষ্ট্রে উদ্ভাবিত জিন এক্সপার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে মাত্র ৪৫ মিনিটে কভিড-১৯ পরীক্ষার অত্যাধুনিক পদ্ধতির মেশিন।
২৯ শে অগাস্ট শনিবার বেলা ১১টায় আধুনিক সদর হাসপাতালের সভাকক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নড়াইল-২ এর সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিচালক এমবিডিসি ও লাইন পরিচালক টিবি-লেপ এবং এএসপি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সামিউল ইসলাম। আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আব্দুস শাকুরের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, পৌর মেয়র মোঃ জাহাঙ্গির বিশ্বাস, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আবদুল মোমেন, সিনিয়রর টিবি বিশেষজ্ঞ-ইউএসএআইডি সাপোর্টেড আইডিডিএস প্রকল্প ও কোর গ্রুপ সদস্য, জিএলআই (গ্লোবাল ল্যাবরেটরি ইনেসিয়েটিভ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সরদার তানজির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মশিউর রহমান বাবু জানান, জরুরি বিবেচনা করে বাছাইকৃত রোগীদের যুক্তরাষ্ট্রে উদ্ভাবিত জিন এক্সপার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে মাত্র ৪৫ মিনিটে কভিড-১৯ পরীক্ষা করা হবে। কভিড-১৯ পরীক্ষায় এই পদ্ধতি সাফল্য লাভ করেছে। অত্যাধুনিক এই পদ্ধতি বাংলাদেশের হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চালু হয়েছে। আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার প্রচেষ্টায় নড়াইল সদর হাসপাতালে এটি চালু হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে নড়াইলবাসীর জন্য একটি বড় সুসংবাদ। তবে আপাতত এই পরীক্ষা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে না। মূলত কম সময়ে পরীক্ষার ফলাফল দিতে পারায় এই কিটের চাহিদা প্রচুর। আর কিটের সংখ্যাও সীমিত। তাই এ সকল বিষয় বিবেচনা করে জরুরি ফলাফল প্রয়োজন এমন রোগীদের জন্যই এই পদ্ধতিতে কভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের চিকিৎসকরাই কাদের জন্য এটি করা প্রয়োজন বা জরুরি তা নির্ধারণ করবেন। আর বাকিরা আগের নিয়মেই জেলা বা উপজেলা হাসপাতাল থেকে কভিড-১৯ শনাক্তের পরীক্ষা করবেন।