বেলাল হোসাইন,খাগড়াছড়ি:
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব মেনে পণ্য কেনাকাটা করার নির্দেশনা থাকলেও খাগড়াছড়ির রামগড়ে মানা হচ্ছেনা কোন ধরনের সামাজিক দুরত্ব।করোনা পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের মতো গোটা বাংলাদেশও যখন আতঙ্কে তখন রামগড়ের কারো মাঝে নেই উদ্বেগের কোনো ছাপ। দেশ যে করোনার মহামারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সেটিও বোঝার উপায় নেই।দোকানগুলোতে মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অধিকাংশই মাস্ক ছাড়াই চলাচল করছেন বাজারগুলোতে। এতে করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
রামগড় পৌর এলাকার মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।মাস্ক ব্যবহার, সামজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জীবানুনাশক ব্যবহার করা,হ্যান্ডগ্লাভস ব্যবহার করাসহ মোট আটটি শর্তের একটিও মানছে না কেউ।
বিক্রেতারা বলছেন, আমরা নিরুপায় আর ক্রেতারা সচেতন নয়। অন্যদিকে,ক্রেতারা বলছেন প্রশাসনিক কোনো নজরদারি নেই মার্কেটের দিকে।
রামগড় পৌর এলাকার ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান মতি জানান, বাজারে ঢুকে মার্কেটগুলো দেখলে মনেই হবে না দেশে করোনা ভাইরাসের মহামারি চলছে। করোনা ঠেকাতে প্রধান শর্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। তবে কারো মাঝে সেই বিধিনিষেধের বালাই নেই। উপচে পড়া ভিড় লেগেছে সকল বিপণীকেন্দ্রে।তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের দোকান খুলে রাখাই ঠিক হয়নি, তবে কোনো উপায়ও নেই।লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল পড়ে রয়েছে। দোকান না খুললে ব্যবসায়ীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
শহরের বাসিন্দা সুইডেন প্রবাসী ব্যবসায়ী আশিকুর রহমান সুমন উদ্ধেগ প্রকাশ করে বলেন, কেউ কোনো বিধিনিষেধ মানছে না।ভ্যাকসিন না আসা
পর্যন্ত আমরা কেউই নিরাপদ না এই ভাইরাস থেকে।প্রশাসন আরো কঠোর না হলে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়বে মানুষ।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন,সামাজিক দূরত্ব রক্ষার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।কিন্তুু মার্কেট গুলো খুলে দেওয়ার ফলে মানুষের ভীড় বেড়ে গেছে এবং মানুষ সচেতন থাকছেনা।তিনি সবাইকে সামাজিক দূরত্ব রক্ষার আহবান জানান।
রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজিব কান্তি রুদ্র জানান, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব রক্ষার জন্য যে সকল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা এখনো চলমান রয়েছে।নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।