স্বপন,চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি:
মোবারক হোসেন (মোবা) বয়স আনুমানিক ১২ বছর। জন্ম থেকেই অভাগা শিশুটি অসুস্থ মৃগী রোগাক্রান্ত। মা জোসনা বেগম যখন পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে চলে গেছেন , তখন মোবারকের বয়স মাত্র সাড়ে ৭ বছরের শিশু। আর দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভূগে ভূগে প্রায় ৭ মাস আগে মারা গেছে তার বাবা রবিউল করিম। ঘরে রয়েছে তার বড় বোন রোশনী খাতুন, সে এবছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। বাবা-মা’কে হারিয়ে তারা ভাই-বোন এতিম প্রায়। বোনটি জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে কোন ভাবে লেখাপড়া করলেও অসুস্থ মোবারকের সংসার চলতো কোন রকম ডাল-ভাত যোগারে মানুষের ফাইফরমাস খেটে অতিব পরিশ্রমের মাধ্যমে। কিন্তু করোনা নামক ভাইরাস পরিস্থিতির কারনে তার কাজ কর্মও বন্ধ প্রায়।
ফলে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে ভাই-বোনের প্রতিটি মূহুর্তে রাত-দিন। চাটমোহর উপজেলার পৌর সদরের ৭নং ওয়ার্ডের আফ্রাতপাড়া (বাসস্ট্যান্ড) মহল্লা’র বাসিন্দা শিশু মোবারক জানান, “আমরা শিশু বলে কেউ আমাদের সাহায্য দিতে চায় না। অবহেলা অযোগ্যতা করে। বেশ ক’দিন আগে এক প্রতিবেশি কিছু চাল, ডাল, তেল, আলু’র পেকেট হাতে ধরিয়ে দিয়ে ছিলো। আমরা ছোট বলে সরকারিভাবে কোন ত্রান বা সাহায্য সহযোগিতা আমাদের ভাই-বোনকে কেউ দেয় নি। ছোট বলে কি আমাদের পেটে ক্ষিদে (ক্ষুধা) লাগে না?
মোবারকের বাড়ির সামনের দোকানদার অালাউদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, “ওরা ছোট এতিম অসহায় শিশু,ওদের নেই কোন ভোটার অাইডি কার্ড যার কারনে সরকারীভাবে কোন প্রকার সাহায্য ও সহযোগিতা পাচ্ছে না”। অবুঝ শিশুটির নিষ্পাপ মুখের দিকে চেয়ে থাকলে বোঝা যায় সে কতটা অসহায় এতিম। অসহায়ত্বের ছাপ রয়েছে শিশুটির সমস্ত চোখে-মুখে। জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী, সক্ষম প্রতিবেশি কেউ কি নেই, যিনি বা যারা এই এতিম শিশু দু’টি মোবারক ও রোসনী’র পাশে স্নেহশীল সমাদারে সহযোগিতার হাত নিয়ে এগিয়ে আসবে! ঘুচবে ওদের দু:খ যন্ত্রণা!