সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৯:১৬ অপরাহ্ন

ই-পেপার

তুমি শুধুই আমার -মো: আলমগীর হোসেন

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০, ৯:১৮ পূর্বাহ্ণ

গ্রামের সহজ প্রকৃতির ছেলে হ্নদয় একই গ্রামের অন্নপুর্ণার প্রেমে হাবুডাবু খাচ্ছে । অন্নাপূর্না অন্য একটি শহরের স্বনামধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অধ্যয়ন রত ছিল । যার কারেনে তাদের মধ্যে মোবাইলেই বেশি যোগাযোগ করতে হয়েছে। প্রায় সময়ই মোবাইলে কথা হচ্ছে । হ্নদয় অন্নাপুর্নাকে ফোনে বলে এ মাসে টিউশনির টাকা ভালই হয়েছে । নিয়ত করেছি যে, একটি ভিডিও ফোন কিনব। অন্নাপূর্না বলে তার কলেজের পাশে একটি ভাল মার্কেট আছে সেখান থেকে ফোন কিনে দিব। তার কথামত সে একটিদন অন্নাপুর্নার মহিলা হোস্টেলের সামনে হাজির । অন্নাপুর্নাকে সাথে রিক্সা যোগে মার্কেটে যায়। হ্নদয় মোবাইল পছন্দের ভারটা অন্নাপুর্নার উপর ছেড়ে দেয়। সে একটি ভিডিও সেট কিনে এবং হোস্টেলে নাস্তা করে ।

তারপর রিক্সায় শহরের ব্যস্ততম গলিও পার্কে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে অন্নাপুর্নাকে তার হোস্টেলে রেখে হ্নদয় চলে আসে। হ্নদয় তার ছাত্রাবাসে এসে তার আর ভাল লাগে না । কেন যে সে একই কলেজে ভর্তি হলোনা । একই কলেজে দুজন থাকলে সব সময় দেখা হতো এসব ভাবতে থাকে। মোবাইলে ধারনকৃত অন্নাপূর্নার ছবিটি তার মোবাইলে ওয়াল পেপারে সেট করে । ছাত্রাবাসের ছেলেরা প্রায়ই হ্নদয়কে টাসকি মেরে বলে, ভাই ভাবী ফোন করেছে নাকি? এসব শুনে হ্নদয় বেশ আনন্দ পায় । নবান্ন উৎসবের আগের দিন অন্নপুন্না হ্নদয়কে ফোন করে বলে, আগামীকাল তো নবান্নের আয়োজন আছে। তুমি কিন্ত সকাল সকাল বাড়ীতে আসবে। হ্নদয় বলে ঠিক আছে আসব। তখন থেকে হ্নদয়ের মনে মনে আনন্দের দোলা খেতে থাকে। কখন আগামীকাল আসবে । তার প্রিয় মানুষটার সাথে দেখা হবে, মন খুলে কথা বলবে এসব চিন্তা করতে থাকে। রাত্রে আর হ্নদয় পড়ার টেবিলে যায় না ।

একটু পর পর মোবাইলে কথা হয়। রাত্রী দশটার দিকে অন্নাপুর্না হ্নদয়কে ফোন করে । তখন হ্নদয় অন্নাপুর্নাকে বলে তুমি তো ভাল গান গাইতে পারো । এখন আমার ভাল লাগছে না । একটা গান শুনাও না। তখন অন্নাপুর্না, ভালবাসি ভালবাসি —- এই গান গায় । হ্নদয় গান রেকর্ড করে রাখে । সে গান শুনে খুব খুশি হয় । মাঝে মাঝে রেকর্ড বাজাতে থাকে । হ্নদয়ের রুমমেট বলে ভাই এসব কি করছেন । পড়াশোনা বাদ দিয়ে প্রেমালাপ করছেন । আমার লেখাপড়ার বারো টা বাজাতে চলেছেন । তখন হ্নদয় মোবাইলে গান বন্ধ করে শুয়ে পড়ে। কিন্তু ঘুম হয় না। পরের দিন সকালে বাসে গ্রামের বাড়ীতে রওনা হয়। বাসের ভিতর অন্নাপুর্নার ফোন আসে। কি ব্যাপার তুমি কোথায় আমি তো বাস-ষ্ট্যান্ডে বসে আছি, তোমার জন্য। এক সাথে ভ্যানে চড়ে বাড়ী যাবো। হ্নদয় বলে ঠিক আছে, আমি আসছি একটু ুদেরী কর। বাসষ্ট্যান্ড হতে দুজন একসাথে ভ্যানে চড়ে বাড়ী রওনা হয় ।

গ্রামের রিক্সা ষ্ট্যান্ড হতে দুজন পৃথক হয়ে যার যার বাড়ীতে চলে যায় । বাড়ীতে হ্নদয় দুপুর খাবার খেয়ে বসে আছে । এমন সময় অন্নাপুর্না ফোন করে কোথায় তুমি? চলো দক্ষিন চড়া দিয়ে একটু ঘুরে আসি। কথামত হ্নদয় দক্ষিন চড়ায় যায় । দক্ষিন চড়ায় কালভার্ট এর রেলিং এর উপর বসে কখনও আবার দুবলা ঘাষের উপর বসে দুজন গল্প করিতেছে । গল্প করিতে করিতে সন্ধা হয়ে যায় । তাওযেন ওদের গল্প শেষ হয়না । তখন হ্নদয় বলে সন্ধা ঘোর হতে চলেছে । চল বাড়ী যাই। তখন দুজনেই অন্নাপূর্নাদের বাড়ীর দিকে রওনা হয়। কারন ঐদিন ছিল নবান্ন উৎসব । পূর্বেই অন্নাপূর্না তার মাকে যেকোন ভাবে ম্যানেজ করে হ্নদয়কে দাওয়াত করেছে । হ্নদয় অন্নাপূর্না বাড়ীতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে। অন্নাপূর্নার পিতা-মাতা শিক্ষিত মানুষ বিধায় সহজে কোন সন্দেহ করেনি।

স্বাভাবিক ভাবেই কথা বার্তা বলছে। অন্নার্পর্না মা হ্নদয়কে বলে একটি ভাল ছেলে দেখে মেয়েটিকে বিয়ে দিতে হবে। তখন হ্নদয় তার মাকে বুঝায়, কি বলছেন আপনি? ওতো অনেক ভাল ছাত্রী লেখাপড়া করে ও প্রতিষ্টিত হতেপারলে ওকে নিয়ে আপনার চিন্তা করতে হবে না। এখন বিয়ে দিলে তো ওর জীবনটা নষ্ট হয়ে যাবে। সে মনে মনে ভাবে অন্নাপুর্না শুধুই তার । ওর জীবনে অন্য কাউকে মানতে পারবেনা। অনেক গল্প করে রাত্রী নয়টার দিকে নিজ বাড়ী চলে যায়। বাড়ীতে গিয়ে আর ঘুম হয়না । সে শুধু ভাবতে থাকে অন্নাপূর্না শুধু আামার । সে রাত্রী দেড়টার দিকে অন্নাপুর্নাকে ফোন করে বলে , অন্নাপুর্না তুমি শুধুই আমার ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর