লামা বিভাগীয় বন অফিসের বমু বিটের আওতাধীন বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন চড়ইবিলে (৯ নং ওয়ার্ড) বনের জমি দখল করে ঘর নির্মাণ ও গোয়ালঘর তৈরী করার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী মহলের চত্রছায়ায় আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, লামা রেঞ্জের বমু বন বিট অফিসের আওতাধীন বমু মৌজা সেগুন বাগানে ফাইতং চিওরতলী গ্রামের কাসেম আলীর ছেলে আবদুল করিম অন্যের ফসলি জমি কেয়ারটেকার হিসেবে দেখাশুনা করেন গত কয়েক বছর ধরে। আজ বুধবার ( ৩ সেপ্টেম্বর) অভিযুক্ত করিমের সাথে কথা হলে সে বলেন, এটি জমির মালিক রুহুল আমিন আমাদেরকে তৈরী করতে বলেছে। এখানে বনবিভাগের কোন লোকের সাথে আমাদের কোন চুক্তি বা কথা হয়নি।
তাৎক্ষণিকভাবে আ. করিম মুঠোফোনে উনাকে কল করে বাগানে নিয়ে আসেন, সে বলে কি হইছে -করিমের সাথে কথা বলা দরকার নাই! ,বমু বিট অফিসার বাগান রক্ষার জন্য এই ঘর তৈরী করতে বলেছে। তোমরা অফিসের সাথে কথা বল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, এখানে দীর্ঘদিন ধরে একটি একটি বনখোকো চক্র রয়েছে। এদের সাথে বনবিভাগের যোগসাজেশ রয়েছে। তারা বেশ কয়েক একর বনবিভাগ জায়গা জবর দখল করে রেখেছে। এরা প্রভাশালী হওয়ার কেউ সহজে মুখ খোলে না। তারা চলে বলে কৌশলে কাউকে এদের বাইরে কোনলোক এখানে অবস্থান করতে দেয় না।তারা ব্যতীত।
তারা আরও জানান, বন বিভাগে জায়গা দখল নিতে মাধ্যমে তারা প্রথমে এ রকম কুঁড়ে ঘর তৈরী করে। পরে ক্রমান্বয়ে সব কিছি গ্রাস করে ফেলে।
বান্দরবান পরিবেশ আন্দোলন (বাপআ) লামা উপজেলা শাখার যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক বিপ্লব দাশ বলেন,
বন বিভাগের সংরক্ষিত সেগুন বাগানে ঘর নির্মাণ করে জায়গা দখলের বিষয়টি একটি গুরুতর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, যা আইনত দণ্ডনীয়। এই ধরনের অবৈধ দখল বন্ধ করতে এবং বনের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বন বিভাগকে অবহিত করা, স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নেওয়া এবং প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া যেতে পারে।
বমু বন বিট ও সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা একে এম আলতাব হোসেন বলেন, সেগুন বাগানে যে ঘর তৈরী করেছে এর বাইরে আর কোন জবর দখল করতে পারবে না। আমাদের জনবল সংকট ও বাইরের মানুষ দরকার। এছাড়াও আদেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।