শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০৭ অপরাহ্ন

ই-পেপার

অভয়নগরে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

মোঃ কামাল হোসেন, অভয়নগর(যশোর):
আপডেট সময়: সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৪১ অপরাহ্ণ

মামলার ভয় দেখিয়ে ও মাদকের অপবাদ দিয়ে যশোরের অভয়নগরে বায়জিদ হোসেন নামের এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকালে অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ দুটি করেন কলেজ শিক্ষক বাবলু কুমার বিশ্বাস ও ঘাটশ্রমিক জাকির হোসেন মোল্যা।

অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা বায়জিদ হোসেন অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের পাথালিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ। তিনি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পদে রয়েছেন। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এসআই বায়জিদ হোসেন তার ক্যাম্প এলাকায় সাধারণ মানুষকে নাশকতা মামলার আসামি করার ভয় দেখিয়ে ও মাদক বিক্রেতার অপবাদ লাগিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে আসছেন। সম্প্রতি এমনই দুই ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগীরা অভয়নগর থানায় এসআই বায়জিদের বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগকারীরা হলেন উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের কোদলা গ্রামের পঞ্চানন বিশ্বাসের ছেলে ও ধোপাদী এসএস কলেজের শিক্ষক বাবলু কুমার বিশ্বাস এবং একই ইউনিয়নের পুড়াখালী গ্রামের মৃত মোশাররফ হোসেন মোল্যার ছেলে ঘাটশ্রমিক জাকির হোসেন মোল্যা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩ আগস্ট সকালে কোদলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন শিক্ষক বাবলু কুমার বিশ্বাস। এ সময় এসআই বায়জিদ হোসেন সেখানে আসেন এবং শিক্ষক বাবলুকে ডেকে নিয়ে কোদলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় নিয়ে যান। এরপর নাশকতা মামলার ভয় দেখিয়ে তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। শেষ পর্যন্ত শিক্ষক বাবলু কোনোভাবে ২০ হাজার টাকা দিয়ে মুক্তি পান বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। অপর অভিযোগকারী ঘাটশ্রমিক জাকির হোসেন মোল্যা বলেন, ‘গত ৮ আগস্ট দুপুরে পুড়াখালী ফকিরবাগান এলাকা থেকে মাদক সেবনের সরঞ্জামসহ আমার ছেলে রিয়াদ মোল্যাকে আটক করে পুলিশ। আটকের কারণ জানতে চাইলে এসআই বায়জিদ আমার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে ৮ হাজার ৯০০ টাকা দিলে আমার ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’

অভিযোগের বিষয়ে পাথালিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই বায়জিদ হোসেন বলেন, ‘অভিযোগগুলো সত্য নয়, আমি কারো কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি। স্থানীয় কিছু ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।’ এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম  বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি এবিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা যদি পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ হয়ে থাকে তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর