বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী-নারিচবুনিয়া সড়কের পাশে বহু বছরের পুরনো ছায়াবৃক্ষ নির্বিচারে কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে। স্থানীয়রা জানান, সড়কের পাশে কয়েকটি পুরনো অর্জুনসহ বিভিন্ন ছায়াবৃক্ষ কেটে ফেলার সময় এলাকাবাসী বাঁধা দেয়। এ সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী আলম কোম্পানী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানান।
বিষয়টি নিয়ে বাইশারী ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি ছব্বির আহমদ বলেন, “আমি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে আলাউদ্দিন কোম্পানীর কাছ থেকে গাছগুলো ক্রয় করেছি।”
তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম এই দাবি অস্বীকার করে বলেন, “আমি কোনো অনুমতি দিইনি। সরকারি রাস্তার পাশের গাছ কাটার এখতিয়ার ইউনিয়ন পরিষদের নেই।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, গাছগুলো ছায়া দেওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ ছিল। তারা দাবি করেন, বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. ইউনুসের নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে।
বাইশারী বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল করিম বান্ডু বলেন, “যেই দলেরই হোক, গাছ কাটার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা উচিত।”
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। বন বিভাগকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
সাঙ্গু রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুর হুসাইন জানান, “আমি বর্তমানে বাইরে আছি, ফিরে এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।”
সচেতন মহল মনে করছে, সরকারি রাস্তার পাশের বৃক্ষ কাটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এসব গাছ পরিবেশ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও স্থানীয়দের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং সড়কের গাছগুলো সংরক্ষণের জন্য জরুরি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।