সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২০ অপরাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :

চাটমোহরে বিয়ের প্রলোভনে দেহ ব্যবসা! থানায় মামলা, ধ*র্ষ*ক আটক

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৫, ২:১৩ অপরাহ্ণ

পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে (১৪) ধ_র্ষণ ও দে-হ ব্যবসা করানোর অভিযোগে চাটমোহর থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির পিতা বাদী হয়ে এই মামলা রুজু করে চাটমোহর থানায়।

মামলায় প্রধান আসামি সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার মহেশরৌহালী গ্রামের মৃত তসলিম হোসেনের ছেলে নাঈম হোসেন (২৫) সহ অজ্ঞাতক একজনকে।

এদিকে মামলা হওয়ার পরপরই সিনিয়র এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) থানা ও হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের যৌথ অভিযানে আসামী নাঈম হোসেন ২৫ কে আটক করে। শুক্রবার তাঁকে পাবনা জেল হাজতে পাঠানো হয়।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, মোবাইল ফোনে পরিচয় পর স্কুল শিক্ষার্থীর সাথে নাঈম এর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৮ ই আগস্ট গভীর রাতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল শিক্ষার্থী কে নিয়ে উধাও হয়ে যায় নাঈম। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা থানায় একটি জিডি করে। পরে মেয়েটিকে নিয়ে তাড়াশ থানা, গুরুদাসপুর থানা, নাটোর সদর থানা ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় নাইম প্রথমে মেয়েটিকে একটি নৌকার মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় এলাকায় একটি বাড়িতে আটক রেখে অন্য আরো একটি ছেলের সাথে শারীরিক সম্বন্ধ করায়। পরে নাটোর সদর থানাধীন একটি ক্লাবে নিয়ে গিয়ে অন্যান্য মেয়েদের সাথে বেশ কয়েকদিন রেখে নতুন নতুন ছেলেদের সাথে শারীরিক সম্বন্ধ তৈরি করতে বাধ্য করা হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকাতে নিয়ে গিয়ে সেখানেও অন্যান্য মানুষের সাথে শারীরিক সম্বন্ধ তৈরি করতে বাধ্য করা হয়। ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ ফেরার পথে গত ২৩ শে আগস্ট সিরাজগঞ্জ কড্ডার মোর এলাকা থেকে র‍্যাব ১২ মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেয়। ২৪ শে আগস্ট ঘটনার বিস্তারিত পরিবারের সদস্যদের জানায়।

বিষয়টি জানাজানি হলে তারা প্রথমে তারাশ থানায় অভিযোগ করতে গেলে তারাশ থানা অভিযোগ নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। একইভাবে সিরাজগঞ্জ আদালতে গেলেও সেখানে তাদের অভিযোগ নেওয়া হয়নি বলে জানায় পরিবারের সদস্যরা। পরে ২৮ শে আগস্ট চাটমোহর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী পরিবার। মামলা নাম্বার ১৩।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানায়, ফেসবুকে পরিচয় পরে তাদের নিয়মিত কথা হতো। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা জেনে গেলে মেয়েটির কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়। পরে নাঈম স্কুলে নিয়মিত মেয়েটির সাথে দেখা করত। সেখানেই পরিকল্পনা হয় পালিয়ে বিয়ে করার। কিন্তু পালিয়ে যাওয়ার পরেই মেয়েটি বুঝতে পারে ছেলেটির আসল উদ্দেশ্য। এ সময় বিভিন্ন রকম ওষুধ খাইয়ে ও বিভিন্ন প্রলোভনে তাকে দিয়ে দে-হ ব্যবসা করানো হতো। এমনকি নাঈম তাকে বিক্রি করার জন্য ঢাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন বয়সী মানুষের সাথে শারীরিক সম্বন্ধ তৈরি করতে বাধ্য করে। শিক্ষার্থী আরও অভিযোগ করেন, যে সকল জায়গায় তাকে রাখা হতো, সেখানে আরো অনেক মেয়েরা থাকতো। সে সকল মেয়েরাও তাকে ওষুধ খাইয়ে এ সকল কাজ করতে বাধ্য করত।

শিক্ষার্থীর পিতা জানায়, আমরা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হওয়ায় প্রতিপক্ষ সমাজের বড় বড় ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ম্যানেজ করে রাখায় আমরা সঠিক বিচার পাব কিনা সেটা নিয়ে বিধান্বিত। তবে নাঈমের কঠিন শাস্তির দাবি জানায় ভুক্তভোগীর পরিবার।

এ ব্যাপারে সিনিয়র এএসপি (চাটমোহর সার্কেল) আঞ্জুমা আকতার জানান, চাটমোহর থানায় মামলাটি রুজু হওয়ার পরে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়া মামলার নামীয় আসামি নাঈম হোসেন কে আটক করেছে। তাঁকে পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর