মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চলছে দ্বিতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা। মূল্যায়ন সম্পন্ন করার জন্য শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের থেকে কোনো ফিস নেওয়া যাবে না, এমন সরকারি নিদের্শনা থাকলেও উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নের ১৬ নং তালুকহাপানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে পরীক্ষার ফি নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি এই নির্দেশনা অধিকাংশ অভিভাবক ও শিক্ষার্থী না জানার সুযোগে টাকা আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়, উপজেলা শিক্ষা অফিসার রুটিন প্রণয়ন করবেন। সহকারী শিক্ষা অফিসারের তত্ত্বাবধানে শিক্ষকদের মাধ্যমে জ্ঞান, অনুধাবন ও প্রয়োগমূলক শিখনক্ষেত্র বিবেচনায় বিদ্যালয়/রোস্টার/ উপজেলাভিত্তিক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে। মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে কোনো প্রকার ফিস গ্রহণ করা যাবে না।
১৬ নং তালুকহাপানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষকরা মূল্যায়ন পরীক্ষার নামে প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণি ১০ টাকা, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফিস বাবদ ৩০ টাকা করে নেওয়া হলেও ১০ টাকা শিক্ষার্থীদের মাঝে ফেরত দেওয়া হয় । পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী বলে, শুনেছি সরকারি নিষেধাজ্ঞা আছে পরীক্ষার নামে কোনো টাকা নেবে না স্কুল।
পঞ্চম শ্রেণীর ও তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাইসা আক্তার ও ফাহিমা জানায় পরীক্ষার ফিস বাবদ আমাদের কাছ থেকে ২০ টাকা করে নিয়েছে শিক্ষকরা, তারপরও আমরা বাড়ি থেকে খাতা নিয়ে এসে পরীক্ষা দিচ্ছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বলেন, আমার মেয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। পরীক্ষার জন্য শিক্ষকরা তার কাছ থেকে ২০ টাকা ফি নিয়েছে।
পাশ্ববর্তী একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, পরীক্ষার ফিস নেওয়ার সুযোগ নেই। আমার বিদ্যালয় কোন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পরীক্ষার কোন ফিস নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১৬নং তালুকহাপানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো:মুহশীন মিয়া বলেন:আমরা শিক্ষা অফিসার সহ সকলেই বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি নামমাত্র একটা ফিস নেওয়ার জন্য। সে হিসাবে আমি ১০ টাকা ফিস নিয়েছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজ বলেন, পরীক্ষার ফিস নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই যদি কোন বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক ফিস নিয়ে থাকে বা এ ব্যাপারে কোন প্রশ্ন ওঠে তবে তাকে প্রশ্নের মোকাবেলা করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিয়ান নুরেন বলেন..পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ফিস নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। সরকারি নীতিমালার বাইরে কোন কাজ করা যাবে না।