সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২১ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :

অভয়নগরে অপরিকল্পিত মৎস্য ঘেরের কারণে সড়কের পাশে ঝুঁকিপূর্ণ শতাধিক গাছ

মোঃ কামাল হোসেন, অভয়নগর(যশোর):
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ১:১৭ অপরাহ্ণ

যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নে অপরিকল্পিতভাবে মৎস্য ঘের করায় নওয়াপাড়া–মনিরামপুর সড়কের পাশে শতাধিক গাছ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, অব্যাহত ভাঙনের কারণে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সরকারি সড়ক যে কোনো সময় ঘেরের মধ্যে বিলীন হয়ে যেতে পারে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে ফুলেরগাতি গ্রামের প্রবীর রায় প্রায় ৮০ একর জমিতে ঘের তৈরি করে মাছ চাষ শুরু করেন। এ ছাড়া ভবদহ অঞ্চলের নওয়াপাড়া ও মনিরামপুর এলাকায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অসংখ্য ঘের। বেশির ভাগ ঘের মালিক সরকারি রাস্তার মাটি ব্যবহার করে পাড় তৈরি করায় সড়ক ভেঙে সরু হয়ে যাচ্ছে এবং রাস্তার পাশের গাছগুলো মাটি ধসে ঘেরের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের একপাশের বিশাল অংশ ভাঙনের কবলে পড়েছে। শতাধিক গাছের গোড়া থেকে মাটি সরে যাওয়ায় একে একে গাছগুলো পড়ে যাচ্ছে ঘেরে। সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে ‘গণ সাহায্য সংস্থা’ সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন প্রজাতির শত শত গাছ রোপণ করেছিল। তবে বর্তমানে সংস্থার কোনো কার্যক্রম না থাকায় গাছগুলোর পরিচর্যা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন শত শত মানুষ এ সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। ঝুঁকিপূর্ণ গাছ ও ভাঙা সড়কের কারণে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দ্রুত সড়ক সংস্কার ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছ অপসারণের দাবি জানান তারা।

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক মিলন মল্লিক বলেন, “রাস্তা এত সরু হয়ে গেছে যে একসঙ্গে দুইট গাড়ি চলতে পারে না। গাছগুলো ভেঙে পড়ার ভয়ে প্রতিদিন আতঙ্কে গাড়ি চালাই।” অভিযোগের বিষয়ে ঘের মালিক প্রবীর রায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভয়নগর উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভবদহ অঞ্চলে প্রায় এক হাজার ঘের এভাবে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত করছে। প্রযোজ্য আইন অনুযায়ী সরকারি সড়কের সীমানা থেকে কমপক্ষে ১০ ফুট দূরে এবং ৪৫ ডিগ্রি ঢালে পাড় রেখে পুকুর বা জলাশয় খনন করতে হবে। দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ধারা ৪৩১ অনুযায়ী সরকারি রাস্তার ক্ষতি ফৌজদারি অপরাধ, যার সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানা। এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতিম শীল বলেন, “লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে দ্রুতই বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর