কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় সহকারী শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক মহিলা ভাইস প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে।
ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। তারা অভিযুক্ত ভাইস প্রিন্সিপাল সহ মাদ্রাসার অধ্যক্ষের অপসারণের দাবি জানান।
আজ (১৯ আগস্ট) মঙ্গলবার সকালে বটতলা বাজার এলাকায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে আকরাম হোসেন বলেন, “অধ্যক্ষ শহিদুল্লাহর নিয়োগ অবৈধ এবং ভাইস প্রিন্সিপাল আমিরুন্নেসার নিবন্ধন সনদ জাল। তাদের দ্রুত অপসারণ করে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
জানা যায়, গতকাল রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল ১০টা ১৮ মিনিটে উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের মিরদী ফাজিল মাদরাসায় সহকারী শিক্ষক নুরুল ইসলাম অফিস কক্ষে প্রবেশ করলে তাকে হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত দেখান ভাইস প্রিন্সিপাল আমিরুন্নেসা। বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রতিবাদ করলে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আমিরুন্নেসা বেঞ্চের কাঠের টুকরো দিয়ে নুরুল ইসলামকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষক।
ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে ভাইস প্রিন্সিপালকে মাদরাসার একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। তারা প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান নিয়ে তার পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে এবং ডিম নিক্ষেপ করে ক্ষোভ প্রকাশ করে। পরে আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
অভিযোগকারী শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, “মাত্র কয়েক মিনিট দেরিতে আসায় এ ধরনের আচরণ করা হয়েছে। এর আগেও এই শিক্ষিকার সঙ্গে অন্যান্য শিক্ষকদের বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এমনকি পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার বাসায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে, যার বিষয়ে থানায় জিডি করেছি।”
অন্যদিকে, অভিযুক্ত ভাইস প্রিন্সিপাল আমিরুন্নেসা বলেন, “নুরুল ইসলাম আমার প্রতি চড়াও হলে আত্মরক্ষার্থে আমি তাকে আঘাত করি। পরে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হওয়ায় পাশের কক্ষে গিয়ে অবস্থান নিই।”
এ বিষয়ে আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামাল জানান, “ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”