সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :

নান্দাইলে সড়কে গর্ত করে ৬ মাস ধরে ফেলে রেখে কাজ না করার অভিযোগ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
আপডেট সময়: রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ৫:৩৭ অপরাহ্ণ

ময়মনসিংহের নান্দাইলে খারুয়া ইউনিয়নের টাউয়াইল গ্রামের একটি কাচাঁ রাস্তা পাকাকরণের কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। উক্ত কাচাঁ রাস্তার দুইপাশে মাঠি রেখে মাঝখানে গর্ত করে প্রায় ৬ মাস ধরে ফেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসীরা জানান বর্ষাকালে কাদাপানি জমে সড়কটি চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পথচারীদের অন্যপথ ঘুরে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বলছেন, বৃষ্টির কারণেই কাজে বিলম্ব হচ্ছে। জানযায়, নান্দাইল উপজেলার কানুরামপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে পলাশিয়া বটতলা দিয়ে একটি পাকা রাস্তা খারুয়া বাজার ভায়া দেওয়ানগঞ্জ বাজারে গিয়ে মিলেছে। সড়কটির মাঝামাঝি পলাশিয়া তিনকোনা মোড় থেকে একটি কাঁচা সড়ক পশ্চিমে টাউয়াইল বাজার হয়ে মধুপুর-দেওয়ানগঞ্জ পাকা সড়কের দিকে চলে গেছে। এই কাঁচা সড়ক দিয়ে টাউয়াইল, খারুয়া, শিবপুর, পলাশিয়া ও আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন বাজারে যাতায়াত করে থাকে। উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিার্থীরাও নিয়মিত এই পথে চলাচল করে থাকে। কিন্তু বর্ষাকালে রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ কারণে ভিন্ন পথে চলাচল করতে হয়। এলাকাবাসী বিগত কয়েক বছর ধরে সড়কটি পাকা করার দাবি জানিয়ে আসছেন। নান্দাইল উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রায় ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে পাকাকরণের উদ্যোগ নেয়। দরপত্র আহ্বান করলে কাজ পায় আবেদীন ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়দের অভিযোগ, ছয় মাস আগে ঠিকাদারের লোকজন সড়ক জুড়ে প্রায় ২ ফুট গভীর গর্ত করে উভয় পাশে মাটি ফেলে রেখেছে। দু-পাশে মাটি না থাকলে সেটি পাশের বিলের পানির সঙ্গে একাকার হয়ে যেত। এ অবস্থায় কোনো যানবাহন চলাচলে দূরে থাক, হেঁটেও চলাচল করা যাচ্ছে না। সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, গর্ত করে রাখা সড়কটিতে পানি ঢেউ খেলছে। কোথাও কোথাও কাদায় একাকার। রাস্তায় অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় দীর্ঘণ সেখানে অপো করার পরেও কোনো পথচারীর দেখা পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে স্থানীয় বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী জানায়, বর্ষাকালে এই সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করা যায় না। তাই বাধ্য হয়েই গ্রামের বাড়ির রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। রাস্তা কাজ বন্ধ করার কারণ জানতে চাইলে ঠিকাদার আবেদীন ট্রেডার্সের মালিক রায়হান জানান, বৃষ্টির কারণে সড়কে বালু নিয়ে ফেলা যাচ্ছে না। এ কারণে কাজের দেরি হচ্ছে। বৃষ্টি কমলেই পুরোদমে কাজ শুরু হবে। এলজিইডির নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মালেক বিশ্বাস জানান, ওই ঠিকাদার সড়কে যে বালু ব্যবহার করছিলেন, সেগুলো মানসম্মত ছিল না বলে নিষেধ করেছেন। এ কারণে একটু দেরি হচ্ছে। তাছাড়া ভালো কিছু পেতে হলে তো গ্রামবাসীর একটু কষ্ট সহ্য করতেই হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর