পাবনা ফরিদপুর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটি নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনার মুখে এবং বাতিল করা হয়েছে মাত্র কয়েক দিনের কমিটি।
গত ১০ জুন আগের কমিটি বিলুপ্ত করে অধ্যক্ষ আব্দুল দাইয়ান মঞ্জুকে আহ্বায়ক এবং জিয়াউর রহমান জিয়াকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন)বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয়ক আবদুস সালামের নির্দেশক্রমে বিকেলে এই কমিটি বাতিল করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আজকে আমাদের রাজশাহী বিভাগীয় প্রোগ্রাম ছিল। প্রোগ্রাম শেষে সেখানেই আব্দুস সালাম সাহেবের সঙ্গে সবাই বসে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
১০ জুনের আহবায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন শ্রেনিপেশাজীবি মানুষের মাঝে আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে। এউপজেলার একাধিক নেতা আওয়ামী শাসনামলে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও নির্বাচনী প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাই ত্যাগী নেতাদের বাদ রেখে আওয়ামী সৈরাশাসনের সাথে নিয়ে চলা বিতর্কিত নেতাদের পদ দেওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগও দেন স্থানীয় নেতারা।
এ বিষয়ে ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সদস্য সচিব ভিপি আব্দুল হাকিম খান বলেন, ভুল ব্যাখা দিয়ে আগের কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন করে বিতর্কিতদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কেন্দ্রে অভিযোগ দেয়ার পর আওয়ামী সৈরাশাসনের সময় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখে আশ্চর্য হয়েছেন এবং আজকে এ কমিটি বাতিল করেছেন।