মোঃ দুলাল হক,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ে পাটের ফলন ভাল, দামেও কৃষকের মুখে সোনালি হাসি । ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় পাটের লক্ষমাত্রা অর্জন, ফলন ভাল এবং দামে কৃষকে মুখে সোনালি হাসি । কৃষি বিভাগও পাট চাষের প্রতি কৃষকের আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় ১২২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়, অর্জনও হয়েছে শতভাগ।
চলতি বছর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় পাটের ফলন ভাল হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। সদর উপজেলাধীন রুহিয়া থানার বিভিন্ন হাটে-বাজারে পাট বিক্রি হচ্ছে ১৮শ’ থেকে ১৯শ’ টাকা মণ দরে। পাটের এই দাম পেয়ে কৃষকরা খুশি বলে বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। এবছর স্বাভাবিক বর্ষা হওয়ায় পাট কাটা, জাগ দেওয়া, শুকানো এবং বাজারজাত করা কৃষকদের পক্ষে অনেকটাই সহজ হয়েছে বলেও জানা গেছে। এখন এলাকার সর্বত্র চলছে পাট কাটা, জাগ দেওয়া, পাটের আশ ছাড়ানো, শুকানো এবং বাজারজাত করা।
ঘনিমহেষপুর গ্রামের কৃষক গণি হোসেন বলেন, এবছর পাট চাষের উপযোগী পরিবেশ আছে। সরকারি সহযোগিতা পেলে উৎপাদন খরচ আরো কম হত। যেহেতু সরকারি সহযোগিতা পাইনি তাই পাটের দাম আর একটু বেশি হলে ভাল হত। ১৪নং রাজাগাঁও ইউনিয়নের কৃষক সিরজিুল ও লৎফর রহমান বলেন, এবছর পাট চাষ করে পাটের দাম যা পেয়েছি তাতে আমরা খুশি। তবে পাট চাষে সরকারি সহযোগিতা পেলে আরো সুবিধা হত। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায় বলেন, সদর উপজেলায় এবছর পাটের ফলন ভাল হয়েছে। পাটের দামে কৃষকরা খুশি। কৃষি বিভাগ চেষ্টা করছে কৃষকদের পাট চাষে আগ্রহ বাড়াতে।