ঝালকাঠি চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ মোঃ মনিরুল ইসলাম পূবালী ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে যাবার সময় জনতার হাতে লাঞ্চিত ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় জেলা বিএনটি দুই নেতাকে কারন দার্শানোর নোটিশ দিয়েছেন জেলা বিএনপি। ৪ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলা বিএনপির প্যাডে জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাডভোকেট মো. সৈয়দ হোসেন ও সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট মো. শাহাদাৎ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তাদের দুইজনকে জাড়িয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া সংবাদে তাদের নাম এসেছে। এ ঘটনায় ৩ দিনের মধ্যে জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের নিকট লিখিত ব্যখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। কারন দর্শানোর নোটিশ পাওয়া দুই নেতা হলো ঝালকাঠি পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আনিচুর রহমান তাপু ও সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. আজম আলী খান।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান তাপু বলেন, আমাকে জেলা বিএনপি থেকে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। আমি এর লিখিত জবাব দিয়েছি। আমার রাজনৈতিক সম্মান ক্ষুন্ন করতে আমার নাম জড়ানো হয়েছে। মুলত আমি খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাই। আমি যাওয়ার সাথে সাথে তাকে নিয়ে মোটর সাইকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। গোয়েন্দা বিভাগও ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে যানা যায়।
সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. আজম আলী খান বলেন, যে পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে আমাকে শোকজ করা হয়েছে, সেখানে আমার নাম নেই। আমি এখনও চিঠি হাতে পাইনি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি।
ঝালকাঠি চেম্বার অব কমার্সেও সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম তালুকদার পূবালী ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে যাবার সময় আমজনতা আটকে রেখে লাঞ্চিত করে তার সাথে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়। ৩ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে শহরের পুবালী ব্যাংকের নীচে এ ঘটনা ঘটে। ঝালকাঠি সদর থানায় মনির তালুকদারের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা রয়েছে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে থাকা) এ্যাড. মিজানুর রহমান মবিন বলেন, এমন ঘটনা শুনেছি। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।