লামায় আদালত থেকে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পরও জমিতে যেতে পারছেন না মালিক পক্ষ। এমন অভিযোগ তুলেছেন লামা উপজেলার রুপসী পাড়া ইউনিয়নের ইব্রাহীম লিডার পাড়া (২নং ওয়ার্ড) এলাকার মৃত নজির আহমদ এর ছেলে মোঃ শাহ আলম ও অন্য শরীকগণ।
বুধবার ( ৪ ডিসেম্বর, ২৪ ইং,) বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দরদরী ব্রীজারের পশ্চিম পাশে কিছু লোক দোকান পাট নির্মাণ করে বসে আছেন। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীরা অনেকগুলো কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিতি হন মোঃ শাহ আলম ও অন্যান্য শরীকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, লামার রুপসী পাড়ার ২৯৪ নং দরদরী মৌজার ওয়ারিশ ও ক্রয়সূত্রে ২০৭ নং খতিয়ানে ৩০৭ নং দাগে ০.২৯ একর জমি আছে ২০৭ নং দাগে অনিল বড়ুয়া গং এর বসত বাড়ি ও ভোগ দখল বিদ্যমান। বর্ণিত ২০৭ নং দাগের জায়গায় অনিল বড়ুয়া,ভোগদখলে থাকায় গত ৮.০৬.২০১০ ইং, স্থায়ী এওয়াজ বদল চুক্তিনামা দলিল সম্পাদন করিয়া অনিল বড়ুয়া পিতা সতীশ চন্দ্র বড়ুয়ার নামীয় ২৩৮ নং খতিয়ানের ৩০৬ নং দাগের ০.২৯ (উনত্রিশ শতক) একর জায়গা মোঃ শাহ আলমকে বুঝিয়া দেন।
সেক্ষেত্রে ১৯৬০ সালে ৩০৭ নং দাগের ০.৩৫ একর ও ৩০৩ দাগের ০.০৪ একর জমি মসজিদের নামে দানপত্র করে দেন। এরপর একই মৌজার ৩৩৮ নং খতিয়ানের প্রজা সতিশ চন্দ্র বড়ুয়া সাথে মৌখিক এওয়াজ করিয়া ২৩৮ নং খতিয়ানের ৩০৬ নং দাগের ০.৩৯ (উনচল্লিশ শতক) একর জমিতে মসজিদ কর্তৃপক্ষ ভোগদখলে আছে বলে জানায়।কিন্তু মসজিদ কর্তৃপক্ষ কোন রেজিস্ট্রার্ড দানপত্র ও এওয়াজ বদল দলিল দেখাতে পারেনি। এদিকে জরিপের পরে মৃত নজির আহমদের এর ওয়ারিশগণের নামে রেকর্ড ভূক্ত মর্মে দেখা যায়। মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান, পিতা -মফজল আহমেদ জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ২০১৯ সাল হতে সভাপতির দায়িত্বে থাকার ২০২০ সালে ২৩৮ নং খতিয়ানের ৩০৬ নং দাগের ০.২৯ একর জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করিয়া ভাড়া দেয়।
আরও এ কাজে বিভিন্নভাবে সহায়তা করছেন অভিযুক্তরা হলেন: ১. আমির হোসেন (৬৬),২. আবুল কাসেম (৫৬) ৩.শামসুল আলম (৬৮).৪,মীর হোসেন (৭৮):৫.আহমদ হোসেন (৬২),৬.আলী হোসেন (৬০) হোসেন আলী (৫৪) সর্বসাং ইব্রাহীম লিডার পাড়া (২ নংওয়ার্ড)রুপসী পাড়া,লামা।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা জয়দত্ত বড়ুয়া,সুবাশ বড়ুয়া, বিশ্বজীৎ বড়ুয়া, আইয়ুব আলী, মোঃ সেলিমসহ অনেকে জানান, ২০০৮ সালে ইং,সালে যৌথ বাহিনীর মধ্যস্তায় আপোষসূত্রে বর্ণিত জায়গা মোঃ শাহ আলম গংকে বুঝিয়ে দেয় এবং ১৭.০১.২০০৮ সালে একটি অঙ্গীকারনামা সম্পাদন করেন। আরও ০৮. ০৬.২০১০ ইং অনিল বড়ুয়ার সাথে ১ম পক্ষের সাথে একটি অরেজিস্ট্রিকৃত এওয়াজ বদল দলিল সম্পাদিত হয় এবং ভোগদখলে থাকে।
অভিযুক্ত আব্দুর রহমান জানান, উক্ত জায়গা করুনা কুমার বড়ুয়া ও বৌধি রঞ্চন বড়ুয়া কর্তৃক ইসহাক মিয়া, পিতা মৃত ইব্রাহিম লিডারকে এওয়াজ বদল দিয়েছেন।
প্রিয়তুস বড়ুয়া ও জমির হোসেন বলেন, আমরা দোকানগুলো আব্দুর রহমান ও মোঃ ইসহাক থেকে চুক্তিভুক্ত ভাড়া নিয়েছি।
ভুক্তভোগী মোঃ শাহ আলম ও আবু আলম জানান, আমাদের বর্নিত জায়গা দখলে নিতে একটি অসাধুচক্র মিনু আক্তার নামে এক মহিলা মাধ্যমে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। গত সরকারের আমলে তারা আমাকে ষড়যন্ত্র করে মামলা দিয়ে জেলে রেখে দোকান নির্মাণ ও জবর দখলে নিয়েছে। এখনও আদালতের রায়ের পরও জমিতে যেতে বাধা দিচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য স্নেহ কুমার বড়ুয়া জানান, জায়গাগুলো বড়ুয়াদের ছিল পরে শাহ আলম গংদের নামে এওয়াজ বদল হয়েছে। পরে এগুলো নিয়ে সমস্যার কথা শুনেছিলাম। সেক্ষেত্রে মসজিদের নামে জায়গা আছে কি না জানা নেই।