আল্লাহর ভালোবাসা পেতে হলে বান্দাকে অবশ্যই রবের হুকুম-আহকাম পরিপূর্ণভাবে মেনে চলতে হবে। আল্লাহ ও তার রাসুলের (সা.) আনুগত্য ছাড়া আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়া সম্ভব নয়।
আল্লাহর ভালোবাসা পেতে হলে বেশ কিছু আমল অতি জরুরি। ইসলামি স্কলারদের মতে,এসব আমলের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তরে ঈমানের নূর তৈরি হয়।
অন্তরে প্রশান্তি অনুভূত হয়। এমন কয়েকটি আমল হলো-
চোখের হেফাজত করা-
এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারিমে ইরশাদ করেন, ‘মুমিন পুরুষদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে।
এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
-সূরা নুর: ৩০
এখানে চোখের হেফাজত বলতে বুঝানো হয়েছে, কোনো অবৈধ জিনিস দেখা, যা আল্লাহ ও তার নবী (সা.) নিষেধ করেছেন- তা না দেখা। এসব থেকে বিরত থাকা।
জবানের হেফাজত
মুখ দিয়ে কোনো প্রকার খারাপ কথাবার্তা না বলা। ঝগড়া-বিবাদ, গালাগালি,পরনিন্দা কিংবা গিবত করা থেকে বিরত থাকা। বর্তমান সময়ে তো পরচর্চা করা নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ এটা ভয়াবহ কবিরা গোনাহ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা একে নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার মতো জঘন্য কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং কঠোরভাবে এ থেকে মুসলমানদের বিরত থাকতে আদেশ দিয়েছেন।
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এক হাদিসে ইরশাদ করেন, ‘মিরাজের সময় আমাকে এমন সম্প্রদায়ের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো- যাদের নখ ছিল তামার। তারা তাদের মুখমণ্ডল ও দেহ আঁচড়াচ্ছিল। আমি জিবরাইলকে (আ.) জিজ্ঞাসা করলাম, এরা কারা ? তিনি বললেন, এরা তাদের ভাইদের গিবত করত ও ইজ্জতহানী করতো। -মাজহারি
আরেক হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘গিবত ব্যভিচারের চেয়েও মারাত্মক গোনাহ। গিবত ইসলামি শরিয়ত মতে হারাম।
অন্তরের হেফাজত তথা নীরবে-নিভৃতেও কোনো প্রকারের মন্দ কল্পনা করা বৈধ নয়। তেমনি কারো সম্পর্কে মন্দ ধারণা করাও কবিরা গোনাহ। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘মুমিনগণ! তোমরা ধারণা থেকে বেঁচে থাকো। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ এবং গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না। ’ -সূরা হুজুরাত : ১২
এ জন্য অন্তরে যেকোনো ধরনের কুচিন্তা ও মন্দ ধারণা থেকে বিরত থাকতে হবে।