মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সরকারি প্রমোদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে টানা ১৯ দিন চলমান আন্দোলন অবশেষে প্রত্যাহার করলো শিক্ষার্থীরা ।
রবিবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১২ ঘটিকার সময় দৌলতপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ১১ দফা দাবি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান মেনে নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন ।
প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আন্দোলনের সমন্বয়ক দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোঃ আল ফাহাদ আবিদ, ভোকেশনাল দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন, ভোকেশনাল দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী স্বাধীন মাহফুজ,সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোস্তাহিনা আক্তার, সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জুঁই ইসলাম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে আল ফাহাদ আবিদ ১১ দফা দাবি উপস্থিত সাংবাদিকদের পড়ে শুনান – প্রথম দফা দাবি- শিক্ষার্থীদের সাথে অশালীন আচরণ করা যাবে না। শাসন করলেও তা শালীন ভাষায় করতে হবে। দ্বিতীয় দফা- অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের কোন রূপ ক্ষতি সাধন করা যাবে না। তৃতীয় দফা- বিদ্যালয়ের অনুপস্থিতির জন্য কোন জরিপানা ধরা যাবে না। বিদ্যালয় এসে পালিয়ে গেলে জরিমানা ধরা যাবে। জরিমানার টাকার ন্যায্য হিসাব সকলের কাছে প্রকাশ করতে হবে। চতুর্থ দফা- শিক্ষার্থীদের সকল অভিযোগ শোনার জন্য প্রধান শিক্ষকের কক্ষ উন্মুক্ত থাকবে। পঞ্চম দফা- শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে কোন রূপ গোপন পরিতোষিক আদায় কিংবা স্বজনপ্রীতি করা যাবে না। ষষ্ঠ দফা- মেয়েদের কমনরুম নামাজ পড়ার জন্য পরিপাটি করে তুলতে হবে ।সকল শিক্ষার্থীর আইসিটি ক্লাস করার সুব্যবস্থা করতে হবে। সপ্তম দফা- বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক কিংবা বহিরাগত কোন শিক্ষকের সাথে দুর্ব্যবহার করলে তা মেনে নেওয়া হবে না। অষ্টম দফা- স্কুল চলাকালীন সময়ে বহিরাগত কেউ কর্তৃক কোন ছাত্রীকে ইভটিজিং করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নবম দফা -আন্দোলন চলার জন্য শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে দশম (সাধারণ এবং ভোকেশনাল) শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এজন্য দশম শ্রেণীর মূল্যায়ন পরীক্ষা নির্ধারিত তারিখ থেকে ন্যূনতম ৫ দিন পিছিয়ে আরম্ভ করতে হবে। দশম দফা- বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কোন সাইকেল রাখার জন্য গ্যারেজ এবং খাবারের জন্য ক্যান্টিন নাই তার সুব্যবস্থা করতে হবে।